ঈদে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে আশনা হাবিব ভাবনা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ও নাটক। ঈদের কিছুদিন আগে তাঁদের একটি পারিবারিক ছবি নিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মন খারাপ ছিল এই অভিনেত্রীর। ঈদ ও অনলাইন ট্রলিংসহ ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
ঈদ মোবারক? কেমন আছেন?
ঈদ মোবারক, ভালো থাকার চেষ্টা করছি।
ঈদ কেমন কাটল?
খুব বেশি ভালো না। মন খারাপ নিয়েই ঈদ কাটিয়েছি। মা দিবসে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলাম। সেটা নিয়ে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রল হয়েছে। করোনা নিয়ে দেশের এমন পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ আমার মায়ের পোশাক নিয়ে এভাবে আমাদের হয়রানি করবে বুঝিনি।
যারা ট্রল করে, তাদের গুরুত্ব না দিলে কী হয়?
আমি এদের কখনোই গুরুত্ব দিই না। আমি কখনোই ফেসবুকের মন্তব্য পড়ি না। আমার কিছু বন্ধু কমেন্টগুলোর স্ক্রিনশট আমাকে ইনবক্স করে। আমি এগুলো সব সময় ইগনোর করতে চাই। কিন্তু এবার সহ্য করতে পারিনি। মাকে নিয়ে এমনভাবে তারা রুচিহীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে, সেটা যেকোনো সন্তানের জন্য কষ্টের। মাকে নিয়ে এমন মন্তব্য কোনো সন্তানই সহ্য করতে পারবে না। মন্তব্যগুলো ফেসবুকে দিয়ে তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করেছি, আপনাদের মাকে নিয়ে এভাবে লিখলে আপনারা কী করতেন?
ঈদে কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন?
ভাবছিলাম বাসা থেকে বের হব না। পরিবারের সবাই বললেন, বাইরে বের হলে মন ভালো হবে। পরে চাচা, ফুফু ও বন্ধুদের বাসায় গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ভালো লেগেছে।
আড্ডায় মূলত কী নিয়ে আলাপ হলো?
আড্ডা আমার ভীষণ পছন্দের। আড্ডায় কাজ নিয়ে কোনো কথা বলি না। জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কে কেমন আছেন, কে টিকা নিল কে নিল না, করোনায় কে কী করছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়। একদমই পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি।
প্রতিটি আড্ডায় দেখলাম নতুন পোশাক? ঈদে কয়টা পোশাক কিনেছেন?
এগুলোর কিছু আগের কেনা। কিছু এবার ঈদ উপলক্ষে আমার বোন বানিয়ে দিয়েছে। সে একজন ডিজাইনার। আমি এবার কোনো শপিং করিনি।
ঈদে সালামি বেশি দিয়েছেন, নাকি পেয়েছেন?
চাচা–ফুফুরা সালামি দিয়েছেন। যা পেয়েছি তার দ্বিগুণের বেশি দিতে হয়েছে। সালামি দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই আমার ভালো লাগে। মাঝে মাঝে খারাপ লাগে, বড় হয়ে যাচ্ছি বলে অনেকে সালামি দিতে চান না।
ঈদের কাজগুলো থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ঈদে একযোগে সম্প্রতি চারটি টেলিভিশনে দেখিয়েছে ‘আলিবাবা ও চার্লিচার’ নামে একটি ওয়েব ফিল্ম। গতকাল দেখিয়েছে ‘প্রেমিকা আবশ্যক’ নামে একটি নাটক। দুটো কাজ থেকেই বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমাকে নিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে কতটা আলোচনা হলো, নাটকের কত ভিউ হলো, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি আমার কাজটা করে যাই। সিনিয়ররা অভিনয়ের প্রশংসা করলে খুশি হই।
ঈদে আপনার অভিনীত নাটক ছাড়া অন্য কোনো নাটক দেখেছেন?
দেখা হয়নি। যেটা দেখতে ইচ্ছে হয়, সেটা সময় বের করে দেখি। বেশির ভাগ নাটকই দেখতে কেন যেন কোনো এক্সাইটমেন্ট পাই না। নাটকগুলো আমাকে টানে না। তবে দেশের বিকল্পধারার বেশির ভাগ সিনেমাই আমি হলে গিয়ে দেখি।
গত বছর লকডাউনে ছবি আঁকা, নাচ ও বইপড়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, এবার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
আমি কখনোই সময় নষ্ট করি না। কিছু না কিছু করার চেষ্টা করি। আমার আঁকা ছবি প্রশংসিত হওয়ার পর এখন সময় নিয়ে আরও ভালো আঁকতে চেষ্টা করি। আর নাচগুলো একটু প্রফেশনালভাবে করছি, যেন অনেক দিন থেকে যায়। আমার যেহেতু বই পড়ার পাশাপাশি লেখালেখির অভ্যাস আছে। প্রতিটি বইমেলায় একটি করে বই প্রকাশ পায়। কিছু সময় লিখেও কাটিয়ে দিই।
আবার কাজে ফিরবেন কবে?
লকডাউনের আগেই শুটিং করেছিলাম। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ডাবিং ছিল। আবারও কিছু কাজের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝেই শুটিংয়ে ফিরব।
আরও পড়ুন
-
সকাল ৯টার ট্রেন ছাড়েনি বেলা ২টায়ও, স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়েছেন ক্লান্ত মা-মেয়ে
-
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
-
সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করলে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
-
ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৬ দিন ধরে, বলছে আবহাওয়া অফিস
-
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা