Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করছে: অঞ্জন চৌধুরী

>

ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের ছয়টি দেশের ২০০ জনেরও বেশি লোকসংগীতশিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নেবেন। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রথম আলোর মুখোমুখি হন ফোক ফেস্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও সান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং মাছরাঙা টেলিভিশন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

অঞ্জন চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট শুধু লোকগানপ্রেমীদের কাছে নয়, বিভিন্ন ঘরানার সংগীতের মানুষের মিলনমেলাও। এই উৎসবকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে?
এই উৎসব কিন্তু বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে গেছে। আমরা বিশ্বের কাছে বাংলা গান ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা থেকে এই উৎসব শুরু করেছি, তাই এটিকে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট বলেছি। টেলিভিশন, ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যে যেভাবে এই উৎসব দেখেছেন, তাঁরা জানতে পারছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এটি হচ্ছে। আমরা যদি শুধু আমাদের দেশের লোকগানের শিল্পীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান করতাম, তাহলে আয়োজন অতটা ব্যাপক হতো না। আন্তর্জাতিকশিল্পীরাও যুক্ত হওয়াতে বিশ্বে এই উৎসব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই উৎসব শুধু লোকগানের ব্যাপকতা বাড়াচ্ছে না, দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করছে।

ঢাকার বাইরে কিংবা দেশের বাইরে এমন আয়োজনের পরিকল্পনা আছে কি?
ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছিল, পারিনি, লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য। তারপরও ইচ্ছে আছে। এটা ফ্রি কনসার্ট, ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভবান হব, এই মানসিকতা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনুষ্ঠানটি করতে উদ্যোগী হই। দেশের বাইরের কোনো মঞ্চেও এটা করতে চাই। আপনি দেখবেন, উইম্বলি স্টেডিয়ামে কনসার্ট হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শক–শ্রোতারা ছুটে আসেন। আমার প্রধান ইচ্ছা, দেশের লোকগানের শিল্পীদের আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করানো।

লোকগানের প্রতি আপনার ভালোবাসা কবে থেকে?
আমার বাড়ি পদ্মার ওই পারে, পাবনায়। ওই পারে কুষ্টিয়া। আমি তো বাউলদের সংস্পর্শে বেড়ে উঠেছি। তখন শহরের মানুষ বাউলগান অতটা শুনত না। মফস্বলে অনেক অনুষ্ঠান হতো। অনেক বাউলকে চিনি, যাদের ঢাকায় যাতায়াতও ছিল না। এখন তো শুধু ঢাকায় নয়, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম পেল। দেশের জন্য এটা গর্বের।

এবারের আয়োজনে যেসব দেশ থেকে শিল্পী নির্বাচন করেছেন সে ক্ষেত্রে কোন ভাবনা কাজ করেছে?
আমাদের একটা টিম শিল্পী বাছাইয়ের কাজ করে। দেশের তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের বিষয়টাও আমাদের ভাবনায় থাকে। লোকসংগীত এমনই, যা শুনলে নিমেষেই মনটা ভালো হয়ে যায়। মাটির গান, শিকড়ের গান তো এমনিতে বলে না।

এবারের আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি কেমন?
আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে আসবেন, সুন্দরভাবে আমাদের আয়োজন উপভোগ করবেন। আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারতাম না, যদি না আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ, সেনাপ্রধানের কাছ থেকে অনুমতি না পেতাম। সংস্কৃতি, পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবাই সহযোগিতা করেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশে আমাদের সংস্কৃতিকে এগিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছি। এগিয়ে নিচ্ছি।