Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রত্যেক মানুষের সঙ্গী দরকার: স্পর্শিয়া

টিভি নাটক ও টেলিছবি—দুটোরই পরিচিত মুখ অর্চিতা স্পর্শিয়া। ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ নামের যে ছবিতে তিনি কাজ করেছিলেন, সেটি মুক্তি পেয়েছিল বিদেশে। একই সঙ্গে সম্মান আর পুরস্কার দুই-ই পেয়েছে ছবিটা। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘আবার বসন্ত’। নিজের কাজ নিয়ে সম্প্রতি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন স্পর্শিয়া।
অর্চিতা স্পর্শিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

কেমন কাটছে?
দৌড়ের ওপর আছি। একটার পর একটা কাজ করতে হচ্ছে। আজ এটার ডাবিং তো কাল ওটার ডাবিং।

এখন কোন ছবির ডাবিং চলছে?
‘আবার বসন্ত’।

পরিচালক অনন্য মামুনের কাছ থেকে শুনেছি, ছবিতে ২৪ বছরের মেয়ের সঙ্গে ৬০ বছরের পুরুষের প্রেম দেখানো হয়েছে। বাস্তবে বিষয়টা আপনি সমর্থন করেন?
আমার এক বছর বয়সে মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এখন মাকে মাঝে মাঝে বলি, আবার বিয়ে করো। প্রত্যেক মানুষের সঙ্গী দরকার। ঘরে বউ বা জামাই রেখে বাইরে প্রেম করাটা আমি কখনোই ভালো চোখে দেখি না। সেটা স্বাস্থ্যকর বলেও আমি মনে করি না। কিন্তু যদি কেউ একা থাকেন, তবে তাঁর অবশ্যই একটা পার্টনার থাকা দরকার। সেটা বন্ধু হতে পারে, প্রেমিক হতে পারে, স্বামী হতে পারে।

এ ছবির গল্প তো একদম আলাদা। মুক্তির পর বিতর্ক হবে না তো?
এমন করে কখনো ভাবিনি।

শুটিং-ডাবিংয়ের বাইরে আর কী করেন?
এসবের পর আর কিছু করার সময় পাই না। কাজ ছাড়া থাকি খুব কম। বাইরে কাজ না থাকলে ঘর গোছাই, ঝাড়া-মোছা করি।

সিনেমা দেখার সময় পান?
সিনেমা দেখার সময় বের করে নিই। আমি মনে করি, আমাকে যদি ভালো অভিনয় করতে হয়, তাহলে প্রচুর সিনেমা দেখতে হবে।

আপনার পছন্দের সিনেমার নাম বলুন।
‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটা ভালো লেগেছে। বিদেশি ছবি আছে অনেক। যেমন ‘গ্রিন মাইল’, ‘কাস্ট অ্যাওয়ে’, ‘ফরেস্ট গাম্প’, টম হ্যাঙ্কসের ভক্ত আমি। জনি ডেপেরও ভীষণ ভক্ত।

আনন্দ পেয়েছেন কোন কাজগুলো করে?
‘কাঠবিড়ালি’, ‘মানুষের বাগান’।

‘আবার বসন্ত’ ছবিটা কেন দেখতে বলবেন?
গল্পটা খুব ভালো আর একটা মেসেজ আছে—এ দুই কারণে।

মা-মেয়ের সংসার। রান্না করেন?
রান্না আমি করতে পারি। কিন্তু পছন্দ করি না। আমি খেতে পছন্দ করি। আমার অনেক কিছুই অপছন্দ। যেমন গোলাপ ফুল পছন্দ না, রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুল পছন্দ।

‘ইতি তোমারই ঢাকা’ বিদেশে বেশ প্রশংসিত হলো। এ ধরনের ছবি কেন পছন্দ করলেন?
আমি আসলে ভালো ছবি করতে চেয়েছি। এটার পরে যতগুলো ছবি পছন্দ করেছি, বেশির ভাগই এ রকম। সেসব ছবির পরিচালকদের পরিকল্পনা হলো, ছবিগুলো তাঁরা বিদেশের উৎসবগুলোতে পাঠাবেন। কাজের ক্ষেত্রে আমার সব সময় মাথায় থাকে ‘ভালো’ ছবি করতে হবে। এ ‘ভালো’ হচ্ছে অনেকগুলো ভালোর সমন্বয়। যেমন ভালো গল্প, ভালো পরিচালক, ভালো নির্মাণ পরিকল্পনা, ভালো ক্যামেরাম্যান ইত্যাদি।

ভালো গল্প ব্যাপারটা কেমন?
যে গল্পে আমার অভিনয়ের সুযোগ থাকে। চরিত্র যদি ছোট হয় বা গুরুত্বপূর্ণ না হয়, অভিনয়ের জায়গা না থাকে, সে রকম ছবি বাদ দিয়ে দিই। আমি খুব পেশাদার। আগে ভাইদের কথা শুনে, অনুরোধে, আর্থিক বিবেচনায় করতাম। এখন আর করি না। পারিশ্রমিক নিই না, তবু মানের দিক থেকে ছাড় দিই না।

নিজের এত দিনের কাজগুলো থেকে যদি ফেলে দিতে বলা হয়?
৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ ফেলে দেব। সেগুলোর বেশির ভাগই ভালো ছিল না।

অভিনয় ছেড়ে দিলে কী করবেন?
অভিনয় মনে হয় ছাড়তে পারব না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি অভিনয় করব। বয়স হয়ে গেলে দাদি-নানির চরিত্র করব।