Thank you for trying Sticky AMP!!

বড় পর্দায় কাজ করতে ভয়ই লাগে

অপূর্ব

• ভালোবাসা দিবসে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন অপূর্ব।
• ‘সংসার’ নাটকটি এসেছে বেশ আলোচনায়।
• ‘টুকরো প্রেমের টান’, ‘বাসস্টপ’, ‘বেকার’ অপূর্বর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ভালোবাসা দিবসে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন অপূর্ব। এর মধ্যে ‘সংসার’ নাটকটি এসেছে বেশ আলোচনায়। তা ছাড়া ‘টুকরো প্রেমের টান’, ‘বাসস্টপ’, ‘বেকার’ নামের নাটকগুলোতেও অপূর্বর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর এই কাজগুলো নিয়ে কথা হলো এবার।

‘সংসার’ নাটকে আপনার অভিনয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো। অনেকটাই বড় ছেলে নাটকের মতো দর্শকের সাড়া পাচ্ছি। এই নাটকটিতে একটি আদর্শ মধ্যবিত্ত দম্পতির টানাপোড়েনকে তুলে আনা হয়েছে। টিভি নাটকের বেশির ভাগ দর্শকই তো মধ্যবিত্ত। এ কারণেই দর্শকেরা দারুণভাবে নিয়েছেন নাটকটি।

শুধু কি এক ঘণ্টার নাটক নিয়ে ব্যস্ত?
না। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকের কাজ করছি। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের ঘরে-বাইরে, শিহাব শাহীনের লিপস্টিক, সৈয়দ শাকিলের সোনার শেকল, মিজানুর আরিয়ানের গল্পগুলো আমাদেরসহ আরও কয়েকটি আছে। এর ফাঁকে কিছু এক ঘণ্টার নাটকেও কাজ করেছি। এখন শুটিংয়ের মধ্যে আছি তো নামগুলো মনে পড়ছে না।

আপনার সমসাময়িক শিল্পীদের অনেকেই এক ঘণ্টার নাটককে প্রাধান্য দিয়ে এখন ধারাবাহিকে কাজ করতে চাইছেন না। আপনি তো তাহলে তাঁদের চেয়ে ভিন্ন পথে হাঁটছেন। কেন?
হয়তো অনেকেই ভাবেন, ধারাবাহিকে কাজ করতে গেলে মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালককে দিতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ভালো চিত্রনাট্য পেলেও এক ঘণ্টার নাটকের জন্য সময় বের করা যায় না। কিন্তু ধারাবাহিক নাটকের কারণেই তো আমরা ‘কানকাটা রমজান’, ‘বাকের ভাই’, ‘ফুলমতী’র মতো অনেক কালজয়ী চরিত্র পেয়েছি।

কিন্তু সেই ধরনের কালজয়ী কাজ কি এখন হচ্ছে?
হয়তো কম হচ্ছে। তবে অনেকেই ভালো কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

‘বড় ছেলে’র পর আপনার অভিনীত নাটকগুলোর গল্প ও চরিত্র একই রকমের হয়ে যাচ্ছে না?
আমাদের এখনকার রীতিই এমন। একটা নাটক যখন আলোচনায় আসে, তখন ওই নাটকের আদলে গল্প ও চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে কিছুদিন একাধারে কাজ হতে থাকে। অনেক সময় এটা চ্যানেল কিংবা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চাহিদা থাকে। এ জন্যই এখন আমাকে বড় ছেলের মতোই কিছু চরিত্রে কাজ করতে হচ্ছে।

‘গ্যাংস্টার রিটার্ন’ সিনেমাটি ব্যর্থ হয়েছিল বলেই কি চলচ্চিত্রে আর কাজ করছেন না?
গ্যাংস্টার রিটার্ন-এর জন্য প্রচুর শ্রম দিয়েছিলাম। ছবিটি মুক্তির আগে বাজে অভিজ্ঞতাও হয়েছিল। সেটা নিয়ে এখন আর না বলি। তবে ছোট পর্দায় দর্শকের যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি আর এখনো পাচ্ছি, এ অবস্থায় বড় পর্দায় কাজ করতে ভয়ই লাগে।

বাস্তব জীবনে সহশিল্পীদের কারও না কারও সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে, সেই সম্পর্ক আবার ভেঙেও গেছে। তাঁদের/তাঁর সঙ্গে কি কখনো কাজ করার কোনো সুযোগ আছে?
বিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হয়নি বলেই সম্পর্ক ভেঙেছে। বিশ্বাস না থাকলে একসঙ্গে কাজ করাও ঠিক নয়। অনেকেই হয়তো বলবেন, পেশার ক্ষেত্রে আমার এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। কিন্তু আমি বলব, ব্যক্তিগত জীবন, আবেগ আমার কাছে বড়। এরপর আমার পেশা। তাই সেই কাজের সুযোগ হবে না হয়তো।