Thank you for trying Sticky AMP!!

শিল্পীদের সম্পর্কোন্নয়নে যেন সমিতি কাজ করে: মৌসুমী

মৌসুমী। ছবি: প্রথম আলো
>

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২২৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খলনায়ক মিশা সওদাগর। অন্যদিকে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী নায়িকা মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট। জয়-পরাজয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন এই দুই অভিনয়শিল্পী।

নির্বাচনের আগেও বলেছিলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে যে-ই আসুন সহযোগিতা করবেন।
এখনো সেটাই বলছি। শিল্পীদের উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেকোনো ভালো কাজে আমার সমর্থন থাকবে। নতুন কমিটিকে বলব, বিনা কারণে সমিতির ১৮১ জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাঁদের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। শিল্পীদের সম্পর্কোন্নয়নে যেন সমিতি কাজ করে।

নির্বাচন ঘিরে শিল্পীদের মধ্যে অসহিষ্ণু পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গিয়েছিল কি?
নির্বাচন ঘিরে এমনটা হয়েই থাকে। ওসব মনে রাখার কোনো মানে হয় না। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন এক দিনের, সম্পর্ক সব সময়ের। মতের অমিল হলে সেটা আলোচনা করে সমাধান করা উচিত। ভুল–বোঝাবুঝি নিয়ে ফেসবুক বা গণমাধ্যমে কথা বললে শিল্পীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।

গত দুই নির্বাচনেও কি এমনটাই ঘটেনি?
নির্বাচন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের সবাইকে শত্রু ভাবার কোনো মানে হয় না। এতে দূরত্বটা বাড়ে। বলব না যে যাঁরা প্রধান দায়িত্বে থাকেন, তাঁরাই এমনটা করেন। সংগঠনের মধ্যে থাকা কিছু সদস্য ও রকম করেন এবং একটা সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান। কেউ আবার শিল্পী সমিতির পদে এসে নিজেদের অনেক বড় কিছু মনে করা শুরু করেন। যাঁরা নির্বাচনে জিতে আসতে পারেননি, তাঁদের অসম্মান করে কথা বলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কেউ যেন ছোট করে কথা না বলেন, এটা দায়িত্বশীলদের খেয়াল রাখতে হবে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আদৌ ভূমিকা রাখতে পারে?
অবশ্যই পারে। প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি ও পরিচালক সমিতির সুন্দর উদ্যোগগুলোর বিরোধিতা না করে সহযোগিতা করতে হবে। উদার মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে।

শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর আপনাদের পারিবারিক বন্ধু। হারের পর বন্ধুত্ব টিকে থাকবে তো?
(হাসি) কেন থাকবে না। আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলে ঠিক করে নিতাম, যাতে নির্বাচন নিয়ে আমরা কেউই এমন কোনো কথা না বলি, যাতে আমরাই ছোট হই।