Thank you for trying Sticky AMP!!

'কী করব বলুন, আর পারছি না'

>

চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। আজ ১৭ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। এবার জন্মদিনে তিনি দেশেই আছেন। ব্যস্ত আছেন ছেলে আর সংসার নিয়ে। ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। আজ সকালে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

শাবনূর। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ। প্রথম আলোর পাঠকদের বলবেন আমার জন্য দোয়া করতে। আগামী দিনগুলো যেন সুন্দরভাবে কাটাতে পারি।

জন্মদিনে কী করছেন?
তেমন কিছুই না। গত বছর জন্মদিনে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। আম্মু আর বোনকে নিয়ে দিনটা দারুণ কেটেছিল। এবার ঢাকায় আমি একদম একা। তাই কিছু করছি না। আম্মুকে খুব মিস করছি। তবে গতকাল রাত ১২টায় বন্ধুরা এসে আমাকে চমকে দেয়। সবাই মিলে আমরা কেক কেটেছি।

জন্মদিনের কোনো ঘটনা মনে পড়ে?
সবাই জানেন, কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক প্রয়াত এহতেশামের হাত ধরে আমি চলচ্চিত্র এসেছি। আমার প্রথম ছবি ‘চাঁদনী রাতে’। এহতেশাম দাদু একবার বড় আয়োজনে আমার জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন। এখন পর্যন্ত সেটি আমার অভিনয়জীবনে সেরা জন্মদিন। তিনি বেঁচে থাকতে জন্মদিনে রাত ১২টায় আমার বাসায় আসতেন। বাসার নিচ থেকে বলতেন, ‘দাদু নিচে আয়, দেখ তোর জন্য কী উপহার এনেছি।’ এমন আদর ভোলা যায়?

আপনি কেমন আছেন?
মাঝে খুব অসুস্থ ছিলাম। এখন অনেকটা ভালো।

ওজন কমানোর মিশন শুরু করেছিলেন। তার কী খবর?
এই কমে আবার বাড়ে। তবে এবার আমি খুব সিরিয়াস। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলছি। অনেক মজার মজার খাবার মিস করছি। কী আর করা, আগে ওজন কমাই, তারপর না হয় আবার খাওয়া যাবে।

এই আপনার সিরিয়াস হওয়ার নমুনা!
কী করব বলুন, আর পারছি না। খাবার না খেয়ে থাকা যায়? খুব কষ্ট হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া কবে যাবেন?
বছরে একবার তো যেতেই হবে। সেখানে আমার পরিবারের সবাই আছেন। ঢাকায় আমি আছি ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে। ওকে নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। এই ডিসেম্বরে ওর চার বছর হবে।

চলচ্চিত্র থেকে হঠাৎ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর আবার ফেরার কথা শুনেছি।
চলচ্চিত্রের জন্য আমি আজকের শাবনূর। সবাই আমাকে ভালোবাসেন। চলচ্চিত্রের ওই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মাঝে আমার আনন্দ, আমার প্রাণ। কিন্তু মাঝে আমাকে দেশের বাইরে যেতে হয়। তার ওপর একটু মুটিয়ে গিয়েছি। পর্দায় ফেরার জন্য অনেক প্রস্তুতি দরকার। হুট করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চাই না। ওজন কমানোর চেষ্টা করছি। যদি সফল হই, তাহলে নতুন বছর কাজ শুরু করার ইচ্ছে আছে।

আপনি ঢাকায় একটি স্কুল গড়েছেন। সেটার কী খবর?
রাজধানীর বারিধারা এলাকায় আমাদের স্কুলের নাম ‘সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’। আমি আর আমার ছোট বোন ঝুমুর মিলে স্কুলটি গড়েছি। স্কুল পরিচালনা পর্ষদে আছি আমরা। প্রিন্সিপাল অস্ট্রেলিয়ান। তিনিই সব দেখাশোনা করেন। সব সময় আমাদের তেমন প্রয়োজন হয় না। যখন প্রয়োজন হয়, তখন যাই।

চলচ্চিত্রের মানুষজনদের কথা মনে পড়ে?
অবশ্যই। চলচ্চিত্রে আমার পথচলায় প্রত্যেক পরিচালক, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফার, কাহিনিকার, প্রোডাকশন বয়, ট্রলিম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতায় আমি আজকের অবস্থানে এসেছি।