Thank you for trying Sticky AMP!!

'মেলা এলে হুমায়ূন স্যারকে খুব মিস করি'

মাজনুন মিজান। ছবি: প্রথম আলো।
>

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ছবি গণ্ডি। ছবির অন্যতম অভিনেতা মাজনুন মিজান। মিশন এক্সট্রিম ও রাত জাগা ফুল-এ অভিনয় করেছেন এই শিল্পী। তিনি জানালেন নিজের সাম্প্রতিক নানা কথা।

ভোট দিতে গিয়েছিলেন?
হ্যাঁ, কল্যাণপুর গার্লস স্কুলটা ছিল আমাদের কেন্দ্র। মা ও স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিতে ভালোই লাগল।

‘গণ্ডি’ ছবিতে খ্যাতিমান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করলেন। প্রাপ্তিগুলো কী ছিল?
তাঁকে দেখে শিখলাম, ‘মানুষ যত বড় হয়, তত বিনয়ী হয়’, ‘ক্যামেরার সামনে আসতে হলে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয়’। ফেলুদা চরিত্রে ছোটবেলা থেকে তাঁকে দেখে আসছি। ভেবেছিলাম তিনি হয়তো একজন গুরুগম্ভীর মানুষ হবেন। পরিচয়ের প্রথম দিনই তিনি আমাকে সহজভাবে নিজের সহশিল্পী হিসেবে গ্রহণ করলেন।

আর সুবর্ণা মুস্তাফা?
আপা আমাদের কাছে ভয়, ভালোবাসা, সুন্দর, ভালো অভিনয়ের নাম। সুবর্ণা আপা ঢাকা থিয়েটার করতেন। ১৯৯৬ সাল থেকে আমিও ঢাকা থিয়েটারে কাজ করি। আমার মিজান নামটা আপাই দিয়েছেন। থিয়েটার করার সময় আমাদের মেঝে ঝাড় দেওয়া, চা বানানোর মতো কাজগুলো নিজেদের করতে হয়। আপা একদিন এসে বলেছিলেন, “রান্নাঘরে কে আছে, আমার জন্য চা নিয়ে এসো।” আমি আপাকে চা বানিয়ে দিই। সেই চায়ে ছিল পিঁপড়া। আপা বলেছিলেন, “চা বদলে নিয়ে এসো। কী নাম তোমার?” আমাকে সবাই তখন মজনু বলে ডাকে। আপাকে বললাম পুরো নাম মিজানুর রহমান। তিনি বললেন, “তোমাকে মিজান নামে ডাকলে অসুবিধা আছে?”

মাজনুন মিজান। ছবি: ফেসবুক।


‘গণ্ডি’ ছবিতে আপনার অবসরপ্রাপ্ত বাবা একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। সাংস্কৃতিকভাবে আমরা কি এ রকম পরিস্থিতি মেনে নিতে পারব?
আমরা আসলে গণ্ডি ভাঙতে চেয়েছি। পরিচালক এ কারণেই গল্পটি নিয়ে কাজ করেছেন। এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি আমরা প্রায়ই হই। এসব মেনে নেওয়ার মতো সাংস্কৃতিক পরিবেশে আমরা বড় হইনি। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে এসব মেনে নিতে হয়।

ছবি আসছে, এ ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের শহরটা উৎসবের শহর হয়ে যায়। ভাবিকে নিয়ে কোথায় যেতে চান?
বইমেলায়। মেলা এলে হুমায়ূন স্যারকে খুব মিস করি। মেলা এলেই স্যার বলতেন, ‘বই নিয়ে যেও।’