Thank you for trying Sticky AMP!!

সুমিত সেনগুপ্ত। ছবি: অভিনেতার সৌজন্যে

‘বাদশা’ দেখেই নায়ক হতে চেয়েছি, বেশি অনুপ্রাণিত করেন শাকিব খান

নতুন ছবির শুটিং শুরু করলেন সুমিত সেনগুপ্ত। গতকাল শুক্রবার ঢাকার ধানমন্ডিতে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ নামের এই ছবির কাজ শুরু হয়েছে। সানি সানোয়ার পরিচালিত ছবিতে দুই ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। এই সিনেমাসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলল বিনোদন
প্রশ্ন

‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবিতে আপনার চরিত্রটা কেমন?

আজ (শুক্রবার) থেকে ঢাকার সোবহানবাগ অফিসার্স কোয়ার্টারে শুটিং শুরু করেছি। কাল থেকে অন্য জায়গায় শুটিং। ছবিতে আমি একজন চিকিৎসক। আমরা যে স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী বলি, সেটারই সার্থক রূপায়ণ হবে ছবিটিতে। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে পারব না। ছবিতে আমার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাঁধন।

সুমিত সেনগুপ্ত। ছবি: অভিনেতার সৌজন্যে
প্রশ্ন

বাঁধনের সঙ্গে তো প্রথম কাজ করছেন। শুটিংয়ের আগে তো আপনারা মহড়াও করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

বাঁধনের মতো একজন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করাটা বিশাল সুযোগ। প্রথমবার কাজ করছি। শুটিংয়ের আগে মহড়া করেছি। বাঁধন ফ্যান্টাস্টিক একজন শিল্পী, একই সঙ্গে অনেক আন্তরিক।

সুমিত সেনগুপ্ত। ছবি: অভিনেতার সৌজন্যে
প্রশ্ন

এর আগে তো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন...

এটা আমার ৬ নম্বর সিনেমা। প্রথম কাজ করেছিলাম ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবিতে, এই ছবিতে আমার নায়িকা ছিল পরীমনি। এরপর ‘পদ্মাপুরাণ’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ ও ‘দামাল’। ‘মিয়া বিবি রাজি’ নামের একটি ছবিতেও কাজ করেছিলাম। কিন্তু ওই ছবিটা মুক্তি পায়নি।

Also Read: ওয়েবে আলোচিত তিন তরুণ

প্রশ্ন

শুরু থেকেই সিনেমার অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন?

বিনোদন অঙ্গনে যখনই কাজ শুরু করি, তখন এখনকার মতো এত মাধ্যম তো ছিল না। ফিল্মটাই সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিল, এখনো আছে। পাশাপাশি নতুন কিছু মাধ্যমও যোগ হয়েছে। শুরু থেকে সিনেমার অভিনেতা হতে চেয়েছি। প্রথম স্বপ্নটা দেখি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, ২০০৯ সালে। আমি ইউল্যাব থেকে মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম নিয়ে পড়েছি।

সুমিত সেনগুপ্ত। ছবি: অভিনেতার সৌজন্যে
প্রশ্ন

এ বিষয়ে পড়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য কাজ করেছিল কি?

ইচ্ছা ছিল ক্যামেরার পেছনে কাজ করার। আমার স্কুল ও কলেজ কুড়িগ্রামে। এরপর ঢাকায় এসে ইউল্যাবে ভর্তি হই। স্কুল–কলেজে পড়ার সময় থেকে থিয়েটার চর্চা করতাম। তখন থেকে কালচারাল যেকোনো বিষয়ে আমার সম্পৃক্ততা অনেক বেশি ছিল। সিনেমার পোকা মাথায় ঢোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়।

প্রশ্ন

আপনি তো ছোট পর্দায়ও কাজ করেছিলেন?

প্রথম নাটক ছিল আশফাক নিপুনের সঙ্গে। খুবই ছোট্ট একটি চরিত্র ছিল। নাটকের নামটা যদিও মনে নেই, তবে ওটাতে মোশাররফ করিম ছিলেন। সময়টা ২০০৮ সাল।

প্রশ্ন

সিনেমায় অভিনয়ের কথা বলছিলেন। এই আগ্রহ কি কাউকে দেখে তৈরি?

একদমই তাই। শাহরুখ খানকে দেখে ভাবতাম, ইশ্‌ যদি সিনেমায় কাজ করতে পারতাম। বাদশা ছবিটি দেখেই নায়ক হতে চেয়েছি।

প্রশ্ন

বাংলাদেশে কারও সিনেমা দেখা হয়?

সালমান শাহর কয়েকটা ছবি দেখেছি। শাকিব খানের সিনেমাও দেখেছি। আলমগীর সাহেবের অনেকগুলো ছবি দেখেছি, তাঁকে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে বাংলাদেশে আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেন শাকিব খান।

প্রশ্ন

যদি জানতে চাই, কেন?

শাকিব খান দেশের নাম্বার ওয়ান সুপারস্টার। মানুষ সব সময় নাম্বার ওয়ানকে দেখেই তো কিছু করার স্বপ্ন দেখে। চেষ্টা করে। আমার মনের ভেতরে ও রকম একটা স্টারডম তৈরি করা বা ওই রকম একটা জায়গায় যাওয়ার খুব ইচ্ছা।  

সুমিত সেনগুপ্ত। ছবি: অভিনেতার সৌজন্যে
প্রশ্ন

এ রকম জায়গায় যেতে তো প্রস্তুতিরও দরকার আছে। আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নেন?

প্রস্তুতির ব্যাপারটি চরিত্রের ওপরও নির্ভর করে। আমি যেটা সব সময় গল্প পেলে তা করি। এই যেমন ফুটবল নিয়ে তৈরি ‘দামাল’–এর সময় ছয় মাসের একটা প্র্যাকটিস সেশন ছিল। ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিটি যখন করি, তখন পুলিশিং বা অন্য বিষয় নিয়ে এক দেড় মাসের প্রশিক্ষণ ছিল। স্ক্রিপ্ট পেলে পড়ি, রেফারেন্স দেখি। পাশাপাশি দেশ–বিদেশের ভালো মানের সব ছবি দেখি।

প্রশ্ন

নতুন কাজের খবর বলুন

হইচইয়ের একটা কাজ করব। কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। চূড়ান্ত হলে তবেই বলব।