Thank you for trying Sticky AMP!!

ইতি ড্যানিয়েল ক্রেগ

ড্যানিয়েল ক্রেগ

ইয়ান ফ্লেমিংয়ের বইয়ের জেমস বন্ডের সঙ্গে তার নাকি কোনো মিলই নেই। তবু স্বর্ণকেশ, নীলচোখা ড্যানিয়েল ক্রেগকেই বলা হয় এই সময়ের জনপ্রিয় জেমস বন্ড। অথচ ২০০৬ সালে পিয়ার্স ব্রসনানের হাত থেকে জেমস বন্ডের রিলে রেসের ব্যাটন যখন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য রীতিমতো ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন বন্ড–ভক্তরা। এমনকি নির্মাতা স্যাম মেন্ডেসেরও বন্ড হিসেবে তাঁকে অপছন্দ ছিল। কাজ দিয়ে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ড্যানিয়েল ক্রেগ।

‘ক্যাসিনো রয়্যাল’, ‘কোয়ান্টাম অব সোলেস’, ‘স্কাইফল’, ‘স্পেকট্রা’ ও ‘নো টাইম টু ডাই’—এই পাঁচ ছবি দিয়ে সিরিজটিকে অন্যতম বক্স অফিস সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত করেছেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। শন কনারি, জর্জ ল্যাজেনবি, রজার মুর, টিমোথি ডালটন ও পিয়ার্স ব্রসনানদের জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিয়ে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন অন্য উচ্চতায়।

‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ ছবিতে এভা গ্রিন ও ড্যানিয়েল ক্রেগ

১৯৬৮ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে জন্ম ড্যানিয়েল ক্রেগের। তাঁর শৈশব কাটে লিভারপুলে। অল্প বয়সেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ক্রেগ। লন্ডনে নাটকের একটি স্কুলে ভর্তি হন। এরপর টিভি, আর্ট হাউস সিনেমা ও মঞ্চে কাজ করেন। ২০০১ সালে ‘লারা ক্রফট: টুম রাইডার’ সিনেমা দিয়ে পরিচিতি পান। এরপর কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন।

ড্যানিয়েল ক্রেগ।

আর ২০০৬ সালে ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ সিনেমাতে জেমস বন্ড হিসেবে অভিষেক, যার ইতি ঘটতে চলেছে ২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’-এর মাধ্যমে। বন্ডের বাইরে ক্রেগের ঝুড়িতে আছে ‘নাইভস আউট’, ‘মিউনিখ’, ‘দ্য ইনভেশন’, ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু’।