Thank you for trying Sticky AMP!!

পর্দায় ২০৪৫ সালের পৃথিবী!

স্টিভেন স্পিলবার্গ মানেই নতুন কিছু পাওয়ার অপেক্ষা, নতুন চমকের আশা। সেই আশা আর অপেক্ষাকে সার্থক করে অবশেষে মুক্তি পেল ভবিষ্যৎ পৃথিবীর গল্প নিয়ে রেডি প্লেয়ার ওয়ান

২০৪৫ সালের পৃথিবী। পৃথিবীর মানুষেরা এখন ছোট ছোট মানব বসতিতে থাকে। নিজেদের যোগাযোগ যাতে ঠিকভাবে চলে, সে জন্য ওয়েসিস নামের একটি ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ব্যবহার করে তারা। কাজ, শিক্ষা কিংবা বিনোদন-সবকিছুতেই সাহায্য করে ওয়েসিস। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। এমন সময় ওয়েসিসের এক গোপন খেলা সম্পর্কে জেনে যায় ওয়েড ওয়াট। ওয়েড ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ। খুব যে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য আছে তার জীবনে, তা নয়। খালার সঙ্গে থাকে সে। একদম কোনো কল্পনা ছাড়াই বড় রকমের এই গোপন ব্যাপারটি সম্পর্কে জানে ওয়েড। এর মাধ্যমে ওয়েসিসের নির্মাতা জেমস হ্যালিডের রেখে যাওয়া সুযোগের সন্ধান পায় সে। পুরো ওয়েসিসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খেলায় জিততে হতো ওয়েডকে। আর সেই চেষ্টাই শুরু করে ওয়েড। সঙ্গে আরও অনেককে যুক্ত করে সে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন পুরো একটা কোম্পানি নিয়ে ওয়েডের কাজের মাঝে চলে আসে নোলান সোরেন্টো। একই চেষ্টা অনেক দিন ধরে করে আসছিল সেও। কে পারবে শেষ পর্যন্ত ওয়েসিসকে নিজের আয়ত্তে আনতে? নোলান নাকি ওয়েড? আদৌ ওয়েসিস কারও হাতে আসবে তো?

স্টিভেন স্পিলবার্গ মানেই নতুন কিছু পাওয়ার অপেক্ষা, নতুন চমকের আশা। সেই আশা আর অপেক্ষাকে সার্থক করে অবশেষে মুক্তি পেল ভবিষ্যৎ পৃথিবীর গল্প নিয়ে রেডি প্লেয়ার ওয়ান

স্টিভেন স্পিলবার্গ মানেই নতুন কিছু পাওয়ার অপেক্ষা, নতুন চমকের আশা। সেই আশা আর অপেক্ষাকে সার্থক করে অবশেষে মুক্তি পেল ভবিষ্যৎ পৃথিবীর গল্প নিয়ে রেডি প্লেয়ার ওয়ান। জ্যাক পেন এবং আর্নেস্ট ক্লাইন আছেন লেখনীতে। ছবিতে অভিনয় করেছেন টাই শেরিডান, অলিভিয়া কুক, বেন ম্যান্ডেলসন, সিমন পেগের মতো আরও অনেকে। দক্ষিণে ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী হয় ১১ মার্চ ২০১৮ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে এর লেগে যায় আরও কিছু সময়। ২৯ মার্চ ২০১৮-তে ওয়ার্নার ব্রুস পিকচারস সবার জন্য প্রকাশ করে রেডি প্লেয়ার ওয়ান। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই অসম্ভব ভালো করে ছবিটি। মোট মিলিয়ে ৩৯৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে নেয় ছবিটি। ২০১৮ সালের সর্বোচ্চ আয় করে নেওয়া ছবিগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থান অর্জন করেছে মুভিটি।
বইয়ের গল্প থেকে চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বেশ মুনশিয়ানা দেখানো হয়েছে বলে মনে করছেন সবাই। তাই সমালোচক এবং অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা মিলছে প্রচুর। তবে চরিত্রগুলোকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার সুযোগ ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। সামান্য একটু ত্রুটির স্থান থাকলেও মোট মিলিয়ে দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে রেডি প্লেয়ার ওয়ান। সাই-ফাই মুভি ভালোবাসেন যাঁরা, তাঁদের কাছে ছবিটি অবশ্যই ভালো লাগবে। দর্শকেরা যাতে ছবিটি দেখে মজা পান, সে জন্য বইয়ের পাতা থেকে এমন দৃশ্যগুলোকে ছাঁটাই করে দিয়েছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ, যেগুলো কেবল বইয়ের পাতাতেই পড়তে ভালো লাগে, পর্দায় নয়। রেডি প্লেয়ার ওয়ান তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। আর কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এখনো বেশ গরমাগরম আছে বলা চলে। তাই ওয়েসিসটা কে পেয়েছিল, সেটা জানতে হাতে সময় থাকলে থিয়েটারে চলে যেতেই পারেন!
সাদিয়া ইসলাম, আইএমডিবি, মুভি ইনসাইডার অবলম্বনে