Thank you for trying Sticky AMP!!

পেলেন টিকিট বিক্রির টাকা

স্কারলেট জোহানসন

সিনেমা হলে যতগুলো টিকিট বিক্রি হবে, তার একটা অংশ লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন অভিনয়শিল্পী। হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনের সঙ্গে সেটাই ছিল চুক্তি। সেই চুক্তি ভেঙে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে শুরুতে মুক্তি দেওয়া হয় ‘ব্ল্যাক উইডো’ ছবিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজনির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্কারলেট জোহানসন। সম্প্রতি ছবিটির লভ্যাংশ হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতে পেয়েছেন স্কারলেট।

স্কারলেটের লভ্যাংশ পাওয়ার খবরটি যারা প্রকাশ করেছে, তাদের দাবি, চেকে টাকার পরিমাণ ৭ অঙ্কের। মার্কিন ডলারে সেই অঙ্ক বিপুল। কিন্তু সেটা কত, সেটা জানতে পারেনি তারা। তবে সূত্র জানিয়েছে, এটি এ পর্যন্ত সিনেমার জন্য অভিনয়শিল্পীকে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অঙ্কের লভ্যাংশ। শুধু জোহানসনই নন, লভ্যাংশ পেয়েছেন ‘ব্ল্যাক উইডো’তে তাঁর অন্যতম সহকর্মী ম্যাথিউ ম্যাকোনাহে ও রিজ উইদারস্পুনও।

মহামারির ভেতরে যখন বিশ্বজুড়ে বহু প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন বিকল্প ব্যবস্থায় সিনেমা মুক্তির প্রচলন শুরু হয়। অনেক প্রযোজক তাঁদের নতুন সিনেমাকে বাক্সবন্দী করে রাখেন, আবার অনেকে অবমুক্ত করেন ওটিটিতে। ‘ব্ল্যাক উইডো’, ‘ডুন’-এর মতো জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলো প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াও অবমুক্ত করা হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও। আবার করোনাকাল উপেক্ষা করে বেশ কিছু ছবি ওটিটিতে মুক্তি না দিয়ে অবমুক্ত করা হয় কেবল প্রেক্ষাগৃহে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শঙ-চি’, ‘লিজেন্ড অব দ্য টেন রিংস’ এবং সম্প্রতি ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’।

‘ব্ল্যাক উইডো’ ছবিতে স্কারলেট জোহানসন

‘ব্ল্যাক উইডো’ অনলাইনে অবমুক্ত করায় গত বছরের জুলাই মাসে ডিজনির বিরুদ্ধে মামলা করেন স্কারলেট। সে সময় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, সেটাও প্রায় ৩০ বছর। এই ৩০ বছরে অনেক কিছু বদলেছে। সম্ভবত কিছু কাল আগেও অনেকে মনে করতেন, যদি এসবের প্রতিবাদ করি, আমাকে কাজে নেবে না। আমাকে হয়তো কালো তালিকাভুক্ত করবে।’ স্কারলেটের এ বক্তব্যে ডিজনির প্রধান নির্বাহী বব চাপেক বলেছিলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি কেন, পৃথিবীটাই অনেক বদলে গেছে। প্রতিভাবানদের সেসব পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত।’