Thank you for trying Sticky AMP!!

বাদ ছিল কেবল ভেনিস

৭৮তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবকে কোভিড–পরবর্তী সবচেয়ে ঝলমলে আসর বললে অত্যুক্তি হবে না। পরিচালক থেকে অভিনয়শিল্পী—জনপ্রিয় তারকায় ঠাসা ছিল এবারের আসর। ম্যাগি জিলেনহল, ম্যাট ড্যামন, কেট হাডসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, অলিভিয়া কোলম্যান, ডাকোটা জনসন, রেবেকা ফারগুসন, হ্যাভিয়ের বারদেম কিংবা পেনেলোপে ক্রুজ। কাকে ফেলে কার কথা বলব? আর শেষ বেলায় এসে মাতিয়ে দিলেন হেভিওয়েট জুটি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। তবে দিনশেষে আলোচনায় নারী জাগরণ। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা চিত্রনাট্য—সব নারীদের দখলে। মাস কয়েক আগে হয়ে যাওয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবেও সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন এক নারী। এমনকি এবারের উৎসবে বিচারকদের তালিকায় ছিল নারীদের আধিক্য। সাত বিচারকের চারজনই নারী। এটি বিশ্বজুড়ে ‘মিটু’ আন্দোলনের ফল কি?

‘দ্য পাওয়ার অব দ্য ডগ’ ছবির দৃশ্য

সেরা পরিচালক, জেন ক্যাম্পিয়ন, ‘দ্য পাওয়ার অব দ্য ডগ’

কিউই নির্মাতা জেন ক্যাম্পিয়ন প্রথম নারী নির্মাতা, যিনি কানের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাম দর ঘরে তুলেছিলেন। সালটা ১৯৯৩। ঠিক পরের বছর অস্কারে সেরা পরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়া দ্বিতীয় নারীও তিনি। এই দুই সম্মানই তাঁকে এনে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের পিরিয়ড ড্রামা দ্য পিয়ানো। এবার দ্য পাওয়ার অব দ্য ডগ ভেনিস থেকে ক্যাম্পিয়নকে এনে দিল সেরা পরিচালকের সম্মান।

আমেরিকান ঔপন্যাসিক থমাস স্যাভেজের একই নামের উপন্যাস থেকে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন ক্যাম্পিয়ন। বেনেডিক্ট ক্যাম্বারব্যাচ ও ক্রিস্টেন ডানস্ট অভিনীত ছবিটি দুই সম্পদশালী ভাইকে কেন্দ্র করে। তাঁদের জীবন পুরোপুরি পাল্টে যায়, যখন এক ভাই একজন বিধবার প্রেমে পড়েন।

ছবির পরিচালক জেন ক্যাম্পিয়ন

নিউজিল্যান্ডে ছবিটির শুটিং হয়েছে। জেন ক্যাম্পিয়ন জানিয়েছেন, নিজের দেশে ছবির শুটিং করে তাঁর দারুণ লেগেছে। বিশেষ করে তাঁর নিউজিল্যান্ডের বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত তিনি। ১১ নভেম্বর ছবিটি নিউজিল্যান্ডে দেখানো হবে। পরে ১ ডিসেম্বর নেটফ্লিক্সে দেখতে পারবেন বিশ্বের দর্শক।