Thank you for trying Sticky AMP!!

সেলেনার ভয়!

কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই পোশাকেই হাজির হয়েছিলেন সেলেনা গোমেজ

সেলেনা গোমেজ এখন আর সেই সেলেনা গোমেজ নেই, জাস্টিন বিবারের জন্য পাগল হয়ে যে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেবেন। তিনি এখন বড়, অনেক বড় তারকা। নানা ঘটনা ঘটিয়ে আলোচনায় আসা এ মার্কিন গায়িকা এ বছর যোগ দিয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। উৎসবের প্রথম দিন উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়ে গেল তাঁর অভিনয় করা হরর কমেডি ছবি ‘দ্য ডেড ডোন্ট ডাই’-এর। এ উৎসবে পাম দ’র ও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নে এগিয়ে আছে ছবিটি। প্রদর্শনীর দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সামাজিক মিডিয়া নিয়ে নাকি ভয়ে আছেন তিনি। কিন্তু কেন?

সেলেনা গোমেজের বয়স ২৬। এই বয়সের তরুণ-তরুণীরা নাকি সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন সামাজিক মিডিয়ায়। ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট আর ইনস্টাগ্রামই যেন তাঁদের আসল ঠিকানা। তারকারাও তাই এই প্রজন্মকে কাছের করে নিতে পারেন এ মাধ্যমগুলোতে। সেই প্রজন্মেরই একজন তারকা হয়ে সেলেনা বললেন সামাজিক মিডিয়ার কুপ্রভাবের কথা। তিনি বলেছেন, ‘জানি একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামাজিক মিডিয়াকে ব্যবহার করা কত মজার। কিন্তু তরুণ-তরুণীরা এখানে যেভাবে নিজেকে তুলে ধরে, দেখে শিউরে উঠি। আমার মনে হয় এটা বিপজ্জনক।’

উৎসবের দ্বিতীয় দিন এই পোশাকে দেখা গেছে সেলেনা গোমেজকে

সামাজিক মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি অনুসারী যাঁদের, সেলেনা গোমেজ তাঁদের অন্যতম। ইনস্টাগ্রামে অনুসারী ১৫ কোটি। এ প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিরাপদে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁর কি ভূমিকা থাকা উচিত নয়? ছবি প্রদর্শনীর দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্ন করা হয় সেলেনাকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘একে নিরাপদ করা অসম্ভব।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখানে চাইলেই যেকোনো কিছু লেখা বা পোস্ট করা ঠেকানো যায় না। ছেলেমেয়েদের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে এই প্ল্যাটফর্ম। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারের ব্যাপারে তাদের সাবধান হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি বলে আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি তো অযথাই ছবি পোস্ট করি না। যা করি, সেটা জেনে-বুঝেই করি। ছোট ছোট মেয়েদের দেখি এই প্ল্যাটফর্মে কীভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার নেই। আসলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি এটা ব্যবহার করা ঠিক নয়।’

সেলেনা গোমেজ

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ‘দ্য ডেড ডোন্ট ডাই’ ছবির পরিচালক জিম জাহমিস, অভিনেতা বিল মারে, টিলডা সুইনটন, ক্লোয়ি জেবেনি এবং অ্যাড ড্রাইভার। সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান পরিচালক। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের জন্য করপোরেশনগুলো দায়ী। পরিবেশ বাঁচাতে হলে তাদের বাদ দিয়ে কাজ করতে হবে। গার্ডিয়ান