Thank you for trying Sticky AMP!!

অরূপ রতন চৌধুরীর ‘ত্রিনয়নী মা’

অরূপ রতন চৌধুরী।

সবাই যেখানে একটি করে গান প্রকাশ করে, সেখানে একসঙ্গে কয়েকটি গান নিয়ে ডিভিডি প্রকাশ করলেন অরূপ রতন চৌধুরী। পূজা উপলক্ষে প্রকাশিত পাঁচটি গানের এই ডিভিডি প্রকাশ করেছে দেশের প্রথম সারির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক। ‘ত্রিনয়নী মা’ শিরোনামের এই অ্যালবামের গানগুলোর কথা ও সুর করেছেন স্বপন দাস। সংগীত পরিচালনা করেছেন শেখ সাদী খান।
ডিভিডির পাশাপাশি গানগুলো ইউটিউব থেকেও শোনা যাবে। অ্যালবাম প্রসঙ্গে আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় অরূপ রতন চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমরা দেখতাম পূজার সময় এলেই ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক প্রিয় শিল্পীর অ্যালবাম প্রকাশ করত। আমরা সংগ্রহ করে রাখতাম। আমাদের দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও এই উৎসবে শামিল হতো। কিন্তু এখন সেই হার একেবারেই কমে গেছে। এখন যারা গান প্রকাশ করছে, একটা-দুটোর বেশি করছেও না। আমি ভাবলাম, কয়েকটি গান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম করার। কারণ, একটা সময় গানের অ্যালবাম গানপ্রেমীরা সংগ্রহ করে রাখতে পারতেন। আমি চেয়েছি, সবাই যেন গান শুনে সংগ্রহও করে রাখতে পারেন। সময়টাকে ধরে রাখারও চেষ্টা বলতে পারেন।’
অরূপ রতন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এসব গানের মাধ্যমে পূজাবাড়ির আনন্দ-উল্লাস, আবেগ-অনুভূতি, সব বয়সী মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ, সৃষ্টিকর্তার প্রতি আরাধনা বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পেয়েছে।’

কথায় কথায় অরূপ রতন জানিয়ে রাখলেন, আগামী পূজার অ্যালবামের ভিডিও চিত্রের শুটিং করে রেখেছেন তিনি। বললেন, ‘পূজামণ্ডপের সত্যিকারের আবহ ধরে রাখতে এবার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে গিয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করেছি। গানগুলোর কাজও খুব শিগগির শুরু করব।

অরূপ রতন চৌধুরী।

এবার অ্যালবাম প্রকাশ করতে পূজা শুরু হয়ে গেছে। আগামী বছর পূজা শুরুর আগেই অ্যালবাম শ্রোতাদের হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই এমনটা করেছি।’
গানের মানুষ অরূপ রতন চৌধুরী মূল পেশা চিকিৎসা। তিনি সিনেমাও তৈরি করেছেন। ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নামের এই ছবির প্রধান চরিত্রের দুই অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস ও নিপুণ। ছবির নির্মাতা অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘৩৬ বছর ধরে ধূমপানবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছি। নিজের গড়া সংগঠন মাদকদ্রব্য নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) থেকে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টেলিভিশনে নিয়মিত অনুষ্ঠান করছি। ভাবলাম, মাদকের ভয়াবহতা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সিনেমার বিকল্প নেই। তাই ২০১৫ সালে ছবিটি বানিয়েছিলাম। মুক্তির পর ছবিটি নিয়ে অনেকের কাছ থেকে প্রশংসাও পেয়েছি।’