Thank you for trying Sticky AMP!!

আসিফকে কেন রিমান্ডে নিতে চাইছে পুলিশ?

আসিফ আকবর


আজ বুধবার সকালে আদালতে আসিফ আকবরকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক প্রলয় রায়। কিন্তু কেন আসিফকে রিমান্ডে নিতে চাইছে পুলিশ? এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে প্রলয় রায় জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং এ ঘটনার মূল হোতাকে খুঁজে বের করার জন্য আসামি আসিফকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সহযোগীদের নাম ও ঠিকানা জোগাড় করার জন্য আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এ ছাড়া এই কাজে ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক প্রলয় রায় আজ আদালতে আসিফ আকবরকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন। জানা গেছে, বেলা দেড়টা নাগাদ এই রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।

আসিফ আকবরকে আজ বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে আদালতে আনা হয়। ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে তাঁকে। এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বাদী শফিক তুহিন প্রথম আলোকে বলেন, আসিফকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সিআইডির পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় শফিক তুহিন মামলাটি করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।

শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেছেন, ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

শফিক তুহিন তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তাঁর ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।

আরও পড়ুন: