Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমার বিশ্বজিতের সুরে সমরজিতের গান

কুমার বিশ্বজিৎ ও সমরজিৎ রায়। ছবি: সংগৃহীত

মূলত কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ সুর করেছেন অনেক শিল্পীর জন্য। নানা সময়ে তরুণ শিল্পীদের জন্য তিনি গান করেছেন। এবার তাঁরই সুর করা একটি গান গেয়েছেন এ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী সমরজিৎ রায়। গানের শিরোনাম ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’। গানটি সমরজিতের গাওয়া প্রথম মৌলিক কোনো দেশের গান। এটি বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘গানছবি এন্টারটেইনমেন্ট’-এর ব্যানারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

সংগীতশিল্পী সমরজিৎ রায় জানান, গানটির কথা লিখেছেন উৎপল দাস। সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার সুপরিচিত সংগীত পরিচালক রকেট মণ্ডল। প্রোগ্রামিং করেছেন রণদীপ মানু। প্রায় দেড় বছর আগে গানটি রেকর্ড করা হয়েছে কলকাতার স্টুডিও ভাইব্রেশনে। গানটির মিক্সিং ও মাস্টারিং করেছেন গৌতম বসু। সমরজিৎ বলেন, ‘বিশ্বজিৎ দাদার যে স্নেহ ও সহযোগিতা পেয়ে যাচ্ছি, তা আমার সারা জীবনের সঞ্চয়। অনেক দিন ধরেই দাদার সুরে গান করার ইচ্ছা ছিল। দাদাকে সেই ইচ্ছার কথা জানানোর পরপরই তিনি রাজি হয়েছিলেন। আমার জন্য সুর করেছিলেন। আমার প্রিয় মানুষ রকেট মণ্ডল দাদাকে গানটির কথা জানানো হলে উনি আমাকে গানটির চমৎকার একটি সংগীতায়োজন করে দেন।’

সমরজিৎ বলেন, ‘এটিই বিশ্বদার সুরে আমার গাওয়া প্রথম গান এবং এটিই আমার প্রথম গাওয়া কোনো দেশের গান। তাই স্বাভাবিকভাবেই গানটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী এবং খুশি।’

কুমার বিশ্বজিতের সুরে প্রথমবার গান করেছেন সমরজিৎ রায়। ছবি: সংগৃহীত

সংগীত পরিচালক রকেট মণ্ডল এই গান নিয়ে বেশ উচ্চ প্রশংসা করেছেন বলে জানান সমরজিৎ রায়। রকেটের মন্তব্য ছিল, ‘সমরজিৎ আমার নিজের ছোট ভাইয়ের মতো এবং ভীষণ স্নেহেরও। তার গান ও কাজ আমি খুবই পছন্দ করি। দিল্লির গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয়ে যখন সে সংগীতে শিক্ষকতা করত, তখন ওখানের সবার কাছে সমরজিতের কাজের প্রশংসা শুনে নিজেরই প্রচণ্ড ভালো লাগা কাজ করত। বহু বছর ধরেই তার সঙ্গে আমি কাজ করছি এবং সেই কাজের কত স্মৃতি রয়েছে তা বলার মতো নয়। আমার মতে, শাস্ত্রীয় সংগীতে যথাযথ শিক্ষা লাভ করে এই প্রজন্মের যারা গাইছে, সমরজিৎ তাদের অন্যতম। “ঠিকানা বাংলাদেশ” গানটি কুমার বিশ্বজিৎ দাদার ইচ্ছানুযায়ী কান্ট্রি ওয়েস্টার্ন স্টাইলে করেছি, যা আশা করি সবার ভালো লাগবে।’

গানটি সম্পর্কে সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘সমরজিৎ আমার স্নেহের ছোট ভাই। ওর গায়কির পরিপক্বতা সম্পর্কে কিছু বলার নেই। আমার সুর করা দেশের গানটি সে তার চমৎকার গায়নশৈলী দিয়ে যথাযথভাবে আত্মস্থ করে গেয়েছে এবং আমাকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করেছে।’