Thank you for trying Sticky AMP!!

জন্মদিনে আজাদ রহমানকে স্মরণ করে নতুন উদ্যোগ

সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের জন্ম ১৯৪৪ সালে

বরেণ্য সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের জন্ম ১৯৪৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি কীর্তন, ধ্রুপদি সংগীতের পাশাপাশি খেয়াল, টপ্পার চর্চা করেন। তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’র মতো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানেও সুর দিয়েছেন। আজ বছরের প্রথম দিন, গুণী সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবার (২০২১) তিনি ৭৭-এ পা রাখতেন। তবে তিনি না থাকলেও তাঁকে ঘিরে হচ্ছে বিশেষ একটি আয়োজন। উন্মুক্ত করা হবে আজাদ রহমানের জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আজাদ রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে তাঁর জীবন ও কর্মের তথ্য তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ওয়েবসাইটে এই মহান সংগীত সাধককে নিয়ে পর্যায়ক্রমে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হবে।

সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান । ছবি: সংগৃহীত

আজাদ রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী (১ জানুয়ারি) উপলক্ষে ওয়েবসাইট প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর তিন কন্যা রুমানা আজাদ, রোজানা আজাদ ও নাফিসা আজাদ। এ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

অন্তর্জালে আয়োজিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শাস্ত্রীয় সংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী (বাংলাদেশ), প্রদীপ কুমার ঘোষ (ভারত), অধ্যাপক কাবেরী কর (প্রাক্তন অধ্যাপক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়), লীনা তাপসী খান (সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অসিত রায় (সংগীত বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), শেখ সাদি খান (সংগীত পরিচালক) এবং আজাদ রহমানের স্ত্রী ও ‘সংস্কৃতি কেন্দ্র’-এর চেয়ারম্যান শিল্পী সেলিনা আজাদ। জানা গেছে www.azadrahaman.com ওয়েবসাইট উদ্বোধন ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি হলেও এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ২ জানুয়ারি।

আজাদ রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েবসাইট প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর তিন কন্যা রুমানা আজাদ, রোজানা আজাদ ও নাফিসা আজাদ

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন আজাদ রহমান। ১৯৬৩ সালে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন। সেই চলচ্চিত্রে তাঁর সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাবুল চৌধুরীর ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রের গানে সুর দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে শুরু হয় আজাদ রহমানের পথচলা। তাঁর সুর করা ও নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘এপার ওপার’ চলচ্চিত্রের ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘ডুমুরের ফুল’ চলচ্চিত্রের ‘কারো মনে ভক্তি মায়ে’, ‘দস্যু বনহুর’ চলচ্চিত্রের ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’ গানগুলো সত্তরের দশকে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।