Thank you for trying Sticky AMP!!

জামিনের বিষয়ে সমর্থন-সহযোগিতা থাকবে

শফিক তুহিন
>

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় জেলে আছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে অনেকটাই উত্তাল সংগীতাঙ্গন। বিষয়টি নিয়ে অনেকের নানা মতামত ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁরা এখন সুন্দর সংগীতাঙ্গনের জন্য সুন্দর সমাধান খুঁজছেন। গতকাল প্রথম আলো মূল দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে। এখানে তাঁদের সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরা হলো।

গতকাল শুক্রবার মামলার বাদী শফিক তুহিন বলেছেন, ‘বিপদে পড়ে, জীবন রক্ষার্থে মামলা করেছি। কোনো অনুমতি বা স্বাক্ষর ছাড়াই আমার অনেক গানের ডিজিটাল রাইট অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছেন আসিফ। সেই অভিযোগ করাতেই এই পরিস্থিতি।’ 
শফিক তুহিন আরও বলেন, ‘অভিযোগের পর আসিফ ২ জুন রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে আমাকে বাপ-মা তুলে গালমন্দ করেছেন। সেখানে বলেছেন, শফিক তুহিনসহ কিছু মানুষকে শায়েস্তা করা হবে। আমাকে প্রতিহত করতে ভক্তদের নির্দেশও দিয়েছেন। এরপর থেকে তাঁর ভক্তরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।’ 
এই গীতিকার, সুরকার ও গায়ক বলেন, ‘মামলা করার পর থেকে হত্যার হুমকি বেশি পাচ্ছি। ফেসবুকে আমার নামে ভুয়া আইডি খুলে বাজে বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এক শিল্পীর ভক্ত হয়ে আরেক শিল্পীকে গালমন্দ করলে পুরো শিল্পীসমাজকে অপমান করা হয়। 
শফিক তুহিনের কথা, ‘একজন শিল্পীর কাছ থেকে বিনয়, শ্রদ্ধা, শিল্পীসুলভ আচরণ প্রত্যাশা করি আমরা। মামলা, জেল, কারাগার সংগীতশিল্পীদের জন্য নয়। স্টুডিও, গিটার, রেকর্ডিং নিয়েই তাঁদের কাজ। কিন্তু আপনারই বলুন, কোন পর্যায়ে গেলে একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্তে আসতে পারেন?’ 
এখন মামলাটি নিয়ে কী করবেন? তিনি বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। আমি চাই, যে যার জায়গা থেকে সঠিক বিচার পাক। যেহেতু সামনে ঈদ, আমি চাই না সংগীত পরিবারের কোনো সদস্য কারাগারে থাকুক। আসিফের জামিনের বিষয়ে আমার সহযোগিতা ও সমর্থন থাকবে।’ 
তবে সংগীত পরিবারের মুরব্বিদের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন শফিক তুহিন। তিনি বলেন, ‘যখন আসিফ লাইভে গালমন্দ করলেন, তখন কেউ তাঁকে উপদেশ দিলেন না। এখন সবাই সমঝোতার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁরা যদি আগেই মুখ খুলতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না।’