Thank you for trying Sticky AMP!!

পুরস্কৃত হলেন বন্যা

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। ছবি: আশরাফুল আলম

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এলেন যখন, তখন মহড়া থামালেন সুরের ধারার শিল্পীরা। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও বসলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের পাশে। শুরু হলো অনুষ্ঠান।

মানপত্র পাঠের পর মঞ্চে এলেন রীভা গাঙ্গুলী দাস। ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিয়ে কিছু কথা বললেন। জানালেন, আইসিসিআর স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে পড়াশোনা করেছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে দেশে–বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন, এমন শিল্পীদের জন্যই এ সম্মাননা।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত আইসিসিআর স্কলারদের পুরস্কৃত করার বিশেষ এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার তুলে দেন রীভা গাঙ্গুলী দাস।

শংসা বচন ও পুরস্কার পাওয়ার পর বন্যা বললেন, ‘২০১৭ সালে যখন দিল্লিতে এই পুরস্কার দেওয়া হলো, তখন আমি সেখানে যেতে পারিনি। তবে এটা ভালোই হয়েছে, এখানে আপনাদের সবার সামনে পুরস্কারটা নিতে পেরে ভালো লাগছে।’

‘গানের সুরের আসনখানি’ সম্মেলক দিয়ে শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ’ গানটি দিয়ে বন্যা শুরু করেন তাঁর গান। ‘ডেকেছিলে মোরে’, গাওয়ার পর একটি সম্মেলক, দুটি একক গান পরিবেশন করল সুরের ধারা।

এরপর আবার গানে ফিরে এলেন শিল্পী। গাইলেন, ‘আমার এ পথ তোমার পথের থেকে অনেক দূরে গেছে বেঁকে’, ‘যা হবার তা হবে’। দর্শক-শ্রোতারা তা প্রাণ ভরে উপভোগ করেন।

গানের একপর্যায়ে সুরের ধারার শুরুর কথা জানান বন্যা। এখন সেখানে গানের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন বলে জানালেন। সুরের ধারার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য দেবাশীষ সাহার কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন বন্যা।