Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে তাপস-মুন্নী দিলেন ৫০ লাখ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন গান বাংলা চ্যানেল ও ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশন্স চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি ও প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস। আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর কার্যালয়ে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছাবিনিময় করেন ফারজানা মুন্নী।

কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব এক সংকটময় সময় পার করছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে কৌশিক হোসেন তাপস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১২ বছর ধরে শিল্পীদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এমন কেউ নেই যিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়ে পাননি। এখন পুরো দেশ সংকটে, তখন আমার পক্ষে তো আর ৫ হাজার কোটি, ৫শ কোটি কিংবা ৫ কোটি টাকা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়া সম্ভব না। আমাদের দেশের দুঃখী মানুষেরা, যাঁরা খাবারের সংকটে আছেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সংগীতের একজন প্রতিনিধি হিসেবে সেই তহবিলে সামান্য অবদান রাখতে পারলাম। সারা জীবন কি কেবল নিয়েই যাব? এই মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া, যাতে সঠিক সিস্টেমের মধ্য দিয়ে এটা সবার কাছে পৌঁছে যায়।’

কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে করোনা নিয়ে তাপসের উপলব্ধি হচ্ছে, ‘মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যেই দেশে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি, সেই দেশের নাম বাংলাদেশ। এই দেশের মাটিতে ঘরে বসে আমি এখন পর্যন্ত ভাত খেতে পারছি, সবার সঙ্গে কথা বলতে পারছি। পুরো পৃথিবীর এখন এটা উপলব্ধির সময়, আমরা মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি, কিন্তু আমরা প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিনিয়ত অনিয়ম করেছি। প্রকৃতি এখন নিজেকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে। আমরা মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো প্রাণী অসুখে নাই। সব প্রাণী সুখে। প্রকৃতি সুখে, আকাশ সুখে, বাতাস সুখে। শুধু মানুষ কষ্টে আছে। মানুষকে শিখতে হবে একলা বাঁচা যাবে না। আমাদের এই মুহূর্তের কাজ হচ্ছে, সবাইকে নিয়ে বাঁচতে হবে। ঘরে যাঁরা থাকছেন, নিজেরদের ঘরে বন্দী আছেন, তাঁদের বড় শঙ্কা, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। নিজেরাই নিজেদের মোটিভেট করতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে, ঘরে থাকলে আপনি গৃহবন্দী নন, গৃহের সঙ্গে সন্ধি করেন। পুরো পৃথিবীতে যা ঘটল, তা থেকে শেখেন এবং সতর্ক হন। পূর্বায়ণ চ্যাটার্জি বলেছিলেন, যে নতুন পৃথিবী আসছে, এটার বেস্ট নিউ ওয়ার্ল্ড হবে। পৃথিবীর মানুষকে সাহসী হতে হবে, আমরা আবার সবকিছু পুনঃস্থাপন করব। নিঃসন্দেহে আমরা একটা নতুন পৃথিবীতে পা দিতে যাচ্ছি। করোনা শেষ হলে যাঁরা আমরা সুস্থ থাকব, যারা বেঁচে থাকব, তাঁদের নতুন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে হবে। সেই নতুন পৃথিবীতে আমরা যেন বাস করার যোগ্যতা অর্জন করি। গান-বাজনা শুনলে মন ভালো থাকে। সংগীত এমন একটা মাধ্যম, সংগীতশিল্পী আমরা শান্তির কথা বলি। সংগীত অনেক মানুষের মাঝে শান্তি ছড়াতে পারে।’