Thank you for trying Sticky AMP!!

বিয়ন্সে একাই সব

বিয়ন্সে

ফ্যাশন সাময়িকী ভোগ-এর সেপ্টেম্বর ২০১৮ সংখ্যার প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন সংগীতশিল্পী বিয়ন্সে। শুধু প্রচ্ছদকন্যাই হননি; প্রচ্ছদের লেখা, ছবি তোলার নির্দেশনা, ছবির ক্যাপশন, লেখা সম্পাদনা—সবকিছুই করেছেন তিনি নিজে। ভোগ সাময়িকীর সঙ্গে এমন চুক্তিই ছিল তাঁর। স্বাধীনভাবে কাজ করবেন তিনি, বলবেন মনের সব অব্যক্ত কথা। ভোগ-এর এই সংখ্যায় উঠে এসেছে বিয়ন্সের শারীরিক পরিবর্তন, মা হওয়া এবং জীবনের নানা দিক।

ধারণা করা হচ্ছে, এটি হতে যাচ্ছে এ বছরের ভোগ সাময়িকীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা। কারণ, বিয়ন্সে তাঁর জীবনের নানা দিক ও তাঁর নিজস্ব দর্শন নিয়ে বলেছেন এ সংখ্যায়—কথাগুলো লিখেছেন নিজেই। শুধু তা-ই নয়, বিয়ন্সে তাঁর ছবি তুলতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ আলোকচিত্রীকে নিয়োগ করেছেন। এটিও ভোগ-এর জন্য একটি নতুন ইতিহাস। ২৩ বছর বয়সী টেইলর মিশেল প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আলোকচিত্রী, যিনি ভোগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের ছবি তুলেছেন।

বিয়ন্সে নিজের প্রচ্ছদ রচনায় মা হওয়ার সময়ে তাঁর দৈহিক গড়ন প্রসঙ্গে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম সন্তানের মা হওয়ার পর আমি বিশ্বাস করেছি যে সমাজ যা বলছে, আমার আসলে দেখতে তেমনই হওয়া উচিত। তাই আমি তিন মাসের মধ্যেই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমি যে মাতৃত্বকালীন মেদ ঝরিয়ে রোগা হয়ে গেছি, এটা বোঝানোর জন্য একটি কনসার্ট করারও সিদ্ধান্ত নিই। এখন পেছনে ফিরে দেখলে মনে হয়, এটা ছিল একটা পাগলামি।’ বিয়ন্সে এবারই প্রথম জানান, দুই যমজ সন্তান রুমি ও স্যারের জন্মের সময় মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছিলেন তিনি। দুই সন্তান ও তাঁর অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন।

নিজের লেখায় এই শিল্পী তরুণ আলোকচিত্রী টেইলরকে নিয়েও বলেন অনেক কিছু। বিয়ন্সের ভাষ্য, ‘কাজ করার জন্য প্রচুর সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধকতা আছে। আমি কাজ করার ক্ষেত্রে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সবার জন্য সমান সুযোগ চাই। যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা তাঁদের মতো দেখতে, তাঁদের কাছের লোকদের সুযোগ দেন। তাঁরা কখনোই অন্য শ্রেণি বা বর্ণের মানুষদের কাজগুলো দিতে চান না।’ সূত্র: বিবিসি