Thank you for trying Sticky AMP!!

মারা গেছেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী মরিকোন

এনিও মরিকোন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

৯১ বছর বয়সে মারা গেলেন অস্কারজয়ী ইতালীয় সুরকার ও সংগীত পরিচালক এনিও মরিকোন। আজ মরিকোনের দীর্ঘদিনের আইনজীবী জিওরজিও তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে ফেলায় তিনি রোমের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই আজ ভোরে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন গুণী এই সুরকার।

চার শতাধিক ছবির সংগীত আয়োজন করেছেন তিনি। তবে ১৯৬৬ সালে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ ছবির জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী দারুণ সমাদৃত হন। পরবর্তীকালে অনেক জায়গায় এই ছবির সংগীত আর সুরের প্রভাব লক্ষ করা যায়। যেসব সিনেমার গান বিশ্বসংগীতকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে, তার ভেতর ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ অন্যতম।

এনিও মরিকোন ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সার্জিও লিওনের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন। এই দুজন মিলে বিশ্ব চলচ্চিত্রে যোগ করেছেন বেশ কিছু আইকনিক ও ক্ল্যাসিক সিনেমা। সেগুলোর ভেতর ‘ডলারস’ ট্রিলোজি ছাড়াও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’, ‘ডাক’, ‘ইউ সাকার’, ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’ ইত্যাদি অন্যতম।

অস্কার পুরস্কার হাতে এনিও মরিকোন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

১৯২৮ সালের ১০ নভেম্বর ইতালির রোমে জন্ম নেওয়া এই সংগীত পরিচালক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফুটবল খেলা দিয়ে। কিন্তু খেলার মাঠেও শুনতে পেতেন সংগীতের ডাক। তাই এএস রোমার মতো বিখ্যাত ক্লাব ছেড়ে মন দিলেন সংগীতে। তিনি ‘দ্য ব্যাটল অব আলজিয়ার্স’, ‘১৯০০’, ‘এক্সরসিস্ট টু’, ‘ডেজ অব হ্যাভেন’, ‘লা কেইজ অক্সফলেস’ কমেডি সিরিজ, ‘মিশন টু মার্চ’, ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’সহ অসংখ্য ছবির সংগীত আয়োজন করেছেন।

২০০৭ সালে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনায় অবদানের জন্য অস্কার আসরে ‘আজীবন সম্মাননা’ পান তিনি। ২০০৮ সালে তাঁকে গ্র্যামির মঞ্চে ‘হল অব অনার’ দেওয়া হয়। আর ২০১৬ সালে ৮৭ বছর বয়সী কুয়েন্টিন ট্যারান্টিনো পরিচালিত ‘দ্য হেটফুল এইট’ ছবির জন্য সেরা ‘অরিজিনাল স্কোর’-এর অস্কার হাতে তোলেন ইতালীয় এই সুরকার। এর আগে পাঁচবার অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন মরিকোন। ছবিগুলো হলো ‘ডেজ অব হেভেন’ (১৯৭৮), ‘দ্য মিশন’ (১৯৮৬), ‘দ্য আনটাচেবলস’ (১৯৮৭), ‘বাগসি’ (১৯৯১) আর ‘ম্যালেনা’(২০০০)।