Thank you for trying Sticky AMP!!

রাধারমণ ও শাহ আবদুল করিমে মাতলেন শ্রোতারা

রাধারমণ সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে একটি দলীয় পরিবেশনা। গতকাল শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা অডিটরিয়ামে। ছবি: সাইফুল ইসলাম

শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের লোকগানের দুই প্রধান পুরুষ রাধারমণ দত্ত ও শাহ আবদুল করিমের গানে মাতলেন শ্রোতারা। শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংগীতসন্ধ্যাটির শিরোনাম ছিল ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’। আয়োজন করে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র।

অনুষ্ঠানে বাংলার দুই কিংবদন্তি লোককবির গান নিয়ে কথা বলেন কবি শ্যামসুন্দর শিকদার, লোকসংগীতশিল্পী আকরামুল ইসলাম ও এবিসি ফার্মার কর্ণধার চন্দন কুমার পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহমুদ সেলিম। অনুষ্ঠানে গান শুনিয়েছেন চন্দনা মজুমদার, বিশ্বজিৎ রায়, আবুবকর সিদ্দিক, লাভলী দেব, খায়রুল ইসলাম ও কানিজ খন্দকার। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা।

সমবেত গানের সুরে সংগীতসন্ধ্যার সূচনা হয়। অনেকগুলো কণ্ঠ মিলে যায় এক সুরে। সবাই মিলে গেয়ে ওঠে ‘সুরধুনীর কিনারায় সোনার নূপুর’। এরপর রাধারমণের গানকে সঙ্গী করে মঞ্চে আসেন খায়রুল ইসলাম। গেয়ে শোনান ‘জলে যাইও না গো রাই’ ও ‘আমারে আসিবার কথা কইয়া’ শিরোনামের সংগীত। কানিজ খন্দকার নিতুর পরিবেশনায় বেছে নেন আবদুল করিমের গান। গেয়ে শোনান ‘কথা রাখো কাছে থাকো’ ও ‘আমার বন্ধু রে কই পাব সখী গো’। আবদুল করিমের গানকে সঙ্গী করে মঞ্চে আসেন আবুবকর সিদ্দিক। একে একে গেয়ে শোনান ‘তুমি বিনে আকুল পরান’, ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে, পিরিতি’, ‘গান গাই আমার মনরে বোঝাই’ ও ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’। সুরে সুরে রাধারমণকে স্মরণ করেন লাভলী দেব। এই শিল্পীর কণ্ঠে গীত হয় ‘তুই বড় কঠিন রে বন্ধু’, ‘শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধু রে’, ‘জলের ঘাটে দেইখা আইলাম’ ও ‘জলে গিয়াছিলাম সই’। একই লোককবির গান কণ্ঠে তুলে বিশ্বজিৎ রায় পরিবেশন করেন ‘আমি ডাকি কাঙালিনী’, ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’, ‘গৌর নামের চলছে গাড়ি’ ও ‘হরি গুণাগুণ কৃষ্ণ গুণাগুণ’। চন্দনা মজুমদার গেয়ে শোনান শাহ আবদুল করিমের ‘এখন ভাবিলে’, ‘মুর্শিদ ধন হে’, ‘আমি তোমার কলের গাড়ি’ ও ‘দরদিয়ারে’।