Thank you for trying Sticky AMP!!

লোকসংগীত উৎসবে ৮ দেশের ১৪০ শিল্পী

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সান কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

আগামী নভেম্বরের ৯ থেকে ১১ তারিখ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৭’। এ বছর বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের ১৪০ জন শিল্পী এ উৎসবে সংগীত পরিবেশন করবেন। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। উৎসবটির আয়োজন করেছে সান কমিউনিকেশনস।

তৃতীয় এ আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও যোগ দিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান, ব্রাজিল, তিব্বত ও মালির খ্যাতিমান শিল্পীরা। গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের শাহজাহান মুন্সি, আরিফ দেওয়ান, ফকির শাহাবুদ্দিন, শাহনাজ বেলী, শাহ আলম সরকার, আলেয়া বেগম, বাউলা ও বাউলিয়ানা। ভারত থেকে আসছেন নুরান সিস্টার্স ও বাসুদেব বাউল। পাকিস্তান থেকে থেকে মিকাল হাসান ব্যান্ড, নেপালের কুটুম্বা, তিব্বতের তেনজিন চোয়েগাল, ইরানের রাস্তাক, ব্রাজিলের মোরিসিও টিজুমবাহ এবং মালির গ্র্যামিজয়ী ব্যান্ড তিনারিওয়েন।

অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে যে-কেউ এ উৎসব উপভোগ করতে পারবেন। ১ থেকে ৫ নভেম্বর (http://dhakainternationalfolkfest.com/)ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে তিন দিনের উৎসবের জন্য তিনটি প্রবেশ পাস সংগ্রহ করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখের পাস নিয়েই উৎসবস্থলে উপস্থিত হওয়া যাবে। উৎসব চলবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত। উৎসবে যোগ দেওয়া সংগীতপ্রেমীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য থাকবে বিনা মূল্যের পরিবহনব্যবস্থা। নিরাপত্তার স্বার্থে সঙ্গে কোনো ব্যাগ নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে না।

‘আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: ডেইলি স্টারের সৌজন্যে

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সান কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‌‘গত দুই বছর লোকসংগীত উৎসব আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আগ্রহ তৈরি করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আমরা দেশের সম্মানিত ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে এ উৎসব আয়োজন করেছি মূলত দেশের লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধারার জন্য।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের বিপণন বিভাগের প্রধান মালিক মোহাম্মদ সাঈদ, ঢাকা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুব রহমান, ইস্পাহানী গ্রুপের পরিচালক এমাদ ইস্পাহানী এবং গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী।