Thank you for trying Sticky AMP!!

শারীরিক অবস্থার উন্নতি, শাহেদ এখন কেবিনে

শাহেদ। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ‘রোকযানা’খ্যাত শিল্পী শেখ শাহেদকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু এরশাদুল হক।

Also Read: সংগীতশিল্পী শাহেদ আইসিইউতে

‘রোকযানা’ খ্যাত শিল্পী শেখ শাহেদের

গত বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহেদকে প্রথমে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ইসিজি করে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন হলে তাঁকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শনিবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরশাদুল হক বলেন, শাহেদ ভাই এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। খাবার খেতে পারছেন, কথাও বলছেন। তাঁর বিশ্রাম দরকার।’ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুরুতে বলা হয়েছিল শাহেদ স্ট্রোক করেছেন। পরে জানা গেল তিনি স্ট্রোক করেননি। অতিরিক্ত বমি হওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও পানি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।

প্রয়াত সংগীত শিল্পী আজম খানের সঙ্গে শাহেদ

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শেখ শাহেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। ‘ইলেকট্রোলাইট’ ভারসাম্যহীনতায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সিরাজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

উল্লেখ্য, শেখ শাহেদ ‘গাছ’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা। নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি গান করে আসছেন। সংগীতাঙ্গনে ‘রোকযানা’ শাহেদ নামেও পরিচিত তিনি। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রোকযানা’, ‘উপলব্ধি’, ‘ক্লাসরুমে বসে শেখা’, ‘উটপাখির ডিম’, ‘খোলা চুল’ ও ‘প্রেম আসবেই’। তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘প্রভু’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এরপর তিনি আরও পাঁচটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।