Thank you for trying Sticky AMP!!

সংগীতশিল্পী শাহেদ আইসিইউতে

‘রোকযানা’ খ্যাত শিল্পী শেখ শাহেদের

দুই দিন ধরে বমি হচ্ছিল ‘রোকযানা’ খ্যাত শিল্পী শেখ শাহেদের। কোনো ধরনের খাওয়া-দাওয়া করতে পারছিলেন না। এর মধ্যে গতকাল রাত দশটার দিকে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দ্রুত ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়ায় শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এবং তাৎক্ষণিক আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হওয়াতে গভীর রাতে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। প্রথম আলোকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া।

মঞ্চে শাহেদ

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন শেখ শাহেদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাবে না। এই সময় পার হলেই অবস্থা জানা যাবে।’
শেখ শাহেদ আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিরাজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি মাইল্ড স্ট্রোক করেছেন। এ ছাড়া তাঁর কিডনি অকার্যকর। তবে এটুকু জানিয়ে রাখলেন, রাতের চেয়ে এখনকার অবস্থা কিছুটা ভালো। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।

প্রয়াত সংগীত শিল্পী আজম খানের সঙ্গে শাহেদ

উল্লেখ্য, শেখ শাহেদ ‘গাছ’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা। নব্বই দশক থেকে তিনি গান করে আসছেন। সংগীতাঙ্গনে ‘রোকযানা’ শাহেদ নামেও পরিচিত তিনি। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘রোকযানা’, ‘উপলব্ধি’, ‘ক্লাসরুমে বসে শেখা’, ‘উটপাখির ডিম’, ‘খোলা চুল’ ও ‘প্রেম আসবেই’। তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘প্রভু’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এরপর তিনি আরও পাঁচটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।