Thank you for trying Sticky AMP!!

সংগীত দুনিয়ার প্রভাবশালী নারী বিয়ন্সে

মার্কিন সংগীতশিল্পী বিয়ন্সে।

বিবিসি রেডিও ফোরের ‘ওমেন্স আওয়ার’ আয়োজনে ঘোষণা করা হয়েছে সংগীত–দুনিয়ার ৪০ জন প্রভাবশালী নারীর নাম। এর মধ্যে শীর্ষে আছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী বিয়ন্সে। বিয়ন্সের দাতব্যকাজ, নারী অধিকার আন্দোলন আর নিত্যনতুন মঞ্চে গান গাওয়ার কারণে এই তালিকায় সবার ওপরে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন।

‘ওমেন্স আওয়ার’–এর তালিকায় বিয়ন্সের পরেই আছেন সংগীতশিল্পী টেলর সুইফট। সুইফটের অবস্থান ২–এ থাকার কারণ হিসেবে ওমেন্স আওয়ারের বিচারকেরা তাঁর গত এক বছরের কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরেন। তাঁদের মতে, গত এক বছরে সুইফট অনেক দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন, যা নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। টেলর সুইফট আওয়াজ তুলেছেন অ্যাপেল ও স্পোটিফাইয়ের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোর বিরুদ্ধে। এই সাইটগুলো অনলাইনে গান স্ট্রিমিং করে প্রচুর অর্থ আয় করছে, কিন্তু শিল্পীরা পাচ্ছেন এর ক্ষুদ্র অংশ। এ কারণেই সুইফট তাঁর নতুন গান এসব স্ট্রিমিং সাইটে মুক্তি দেওয়া থেকে বিরত আছেন। তা ছাড়া এ বছরই টেলর সুইফট তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির মামলায় জিতেছেন। শাস্তি হয়েছে হেনস্তাকারী ব্যক্তির। বিচারকেরা একেও একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখেছেন।

শুধু গান গেয়ে তারকা হয়ে যাওয়া নারীদের নিয়েই বিবিসি ফোর এই তালিকাটি করেনি। বরং পর্দার আড়ালে থাকা ক্ষমতাধর নারীরাও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন পিআরএস ফর মিউজিক–এর পরিচালক ভেনেসা রিড। ভেনেসার প্রতিষ্ঠান বছরব্যাপী বেশ কিছু বড় কনসার্টের আয়োজন করে বেশ অর্থকড়ি অর্জন করেছে। এর পাশাপাশি দাতব্য কনসার্ট আয়োজনের মধ্য দিয়েও আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে পিআরএস ফর মিউজিক ও এর পরিচালক ভেনেসা।

প্রভাবশালী নারীদের মধ্যে তালিকায় চতুর্থ নামটি হলো অ্যাডেলের। তাঁর কোনো নতুন গান ছিল না গত এক বছর। কণ্ঠনালিতে প্রদাহের কারণে মঞ্চেও পাওয়া যায়নি এই শিল্পীকে। কিন্তু এরপরও অ্যাডেলে অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছেন। এর কারণ দাতব্য কর্মকাণ্ড ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাডেলের সরব পদচারণ।

সংগীত–দুনিয়ার মোট ১০০ জন নারী শিল্পী, কুশলী ও সংগীতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে কাজ শুরু করে বিবিসি ফোরের ওমেন্স আওয়ার। কয়েকজন বিচারক নিয়ে প্যানেল গঠন করা হয়। এরপর সেই বিচারকদের প্যানেলই ১০০ থেকে বাছাই করে ৪০ জন ক্ষমতাধর নারীকে। বিবিসি।