Thank you for trying Sticky AMP!!

নাচগানে মুখর সারা দিন

দুটি গান শোনান রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অণিমা রায়

প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে উৎসবের আয়োজন করা হয়। আজকের এই উৎসব শুধুই পাঠকদের জন্য। সকাল থেকেই উৎসবস্থলে ভিড় করতে শুরু করেন পাঠকেরা। ছোটদের জন্য আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। পাশাপাশি তাদের জন্য রয়েছে রেলগাড়িসহ বিভিন্ন রাইডে চড়ার ব্যবস্থা। পাঠক উৎসবে চলছে প্রথম আলোর আলোকচিত্র প্রদর্শনীও। রয়েছে বিজ্ঞানচিন্তা, কিশোর আলোসহ প্রথম আলোর পাঠকপ্রিয় নানা প্রকাশনার স্টল। এ ছাড়া ছিল দিনব্যাপী সংগীতানুষ্ঠান। গান ও নাচে দর্শককে মাতিয়ে রাখেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।

সকালে অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রথম আলো গানের দলের পরিবেশনা দিয়ে। তারা অনুষ্ঠান শুরু করে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ দিয়ে। এরপর পরিবেশন করে রবীন্দ্রসংগীত ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’। এরপর হয় পাঠক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। মঞ্চে হাজির হন এই সময়ের আলোচিত ১০ তরুণ তুর্কি।

অনিমেষ রায়ের সঙ্গে পান্থ কানাই পরিবেশন করেন কোক স্টুডিও বাংলার কল্যাণে জনপ্রিয় হওয়া ‘নাসেক নাসেক’

পাঠক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মঞ্চে ওঠেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অণিমা রায়। দুটি গান শোনান তিনি। প্রথমে শোনান ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, এরপর ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ দিয়ে শেষ করেন নিজের পরিবেশনা।
এরপর মঞ্চে ওঠেন তরুণ শিল্পী মাশা ইসলাম। গত মাসেই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম দুই দিনের দুনিয়া চলচ্চিত্রে ‘ট্যাকা পাখি’ গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। পাঠক উৎসবে মাশা ইসলাম শোনান ডি এল রায়ের ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’।

মাশার পর সুলতানা ইয়াসমীন লায়লা গেয়ে শোনান শাহ আবদুল করিমের ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’। লায়লার পর লালনগীতি পরিবেশন করেন সূচনা শেলী। তিনি গেয়ে শোনান, ‘রবে না এ ধন জীবন যৌবন’। রবীন্দ্রসংগীত, ডি এল রায়ের গান থেকে লালনগীতি—পাঠক উৎসবে উপস্থিত প্রথম আলো পাঠকেরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করছিলেন পরিবেশনা। সূচনা শেলীর পরিবেশনার পর ছিল সংগীতানুষ্ঠানে জোহরের নামাজের বিরতি।

লালনগীতি পরিবেশন করেন সূচনা শেলী

বিরতির পর অনুষ্ঠান শুরু হয় পাঠকের কুইজ দিয়ে। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরের পর্ব। এই পর্ব শুরু হয় নৃত্য দিয়ে। পূজা সেনগুপ্তর ভাবনা ও নির্দেশনায় নৃত্যদল তুরঙ্গমী হাজির হয় তাদের বিশেষ নৃত্যালেখ্য ‘নন্দিনী’ নিয়ে।
এরপর মঞ্চে হাজির ‘সাদা সাদা কালা কালা’খ্যাত আরফান মৃধা। ‘হাওয়া’ ছবির গানটি কয়েক মাস আগেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। শিল্পীর কণ্ঠে সরাসরি গানটি শুনবেন—পাঠকদের উৎসবে মেতে উঠতে আর কী চাই। তবে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ছাড়াও আরফান মৃধা শোনান ‘তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি’।

এরপর মঞ্চে আসেন পান্থ কানাই। প্রথমে তিনি শোনান ‘মা’ শিরোনামের মৌলিক একটি দেশের গান। পরে অনিমেষ রায়ের সঙ্গে পান্থ কানাই পরিবেশন করেন কোক স্টুডিও বাংলার কল্যাণে জনপ্রিয় হওয়া ‘নাসেক নাসেক’।
পান্থ কানাই, অনিমেষ রায়ের পরেই মঞ্চে ওঠেন দিলশাদ নাহার কনা। তিনি পরিবেশন করেন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘ও হে শ্যাম’।

দিলশাদ নাহার কনা। পরিবেশন করেন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘ও হে শ্যাম’

এরপর প্রায় এক ঘণ্টার বিরতি। শুরু হয় পাঠকের মুখোমুখি প্রথম আলো পর্ব। যেখানে সম্পাদক মতিউর রহমানসহ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল পাঠকদের।

পাঠক উৎসবের সংগীতানুষ্ঠানের শেষ পর্ব ছিল সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা ও ঋতুরাজের পরিবেশনা দিয়ে। তাঁরা শেষ বিকেলে উপস্থিত পাঠকদের মন আন্দোলিত করেন ‘বুলবুলি’ দিয়ে। কোক স্টুডিও বাংলায় নতুন সংগীতায়াজনে গাওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল গানটি। এদিন পাঠক উৎসবের সংগীতানুষ্ঠান শেষ হয় নন্দিতা ও ঋতুরাজের কণ্ঠে ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানটি দিয়ে।

সারা দিনই সংগীতানুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেন প্রথম আলোর পাঠকেরা। গানের তালে তাঁরাও সুর মেলান। উৎসবে এসেছিলেন নানা বয়সের মানুষ। বাবা-মায়ের সঙ্গে যেমন এসেছিল শিশু-কিশোরেরা, তেমনি ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠরাও।

Also Read: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে প্রথম আলো