Thank you for trying Sticky AMP!!

আগের রাতেই 'প্যাকআপ'

বুধবার রাতে ইস্কাটনের রাস্তায় শুটিং করেছেন শামীম, ইরফান সাজ্জাদ ও শবনম ফারিয়া
>
  •  নাটকটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুটিং হওয়ার কথা ছিল।
  •  কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।
  • ওই রাস্তাতে এক দিনের শুটিং শেষ করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম স্কুলের পাশের রাস্তায় শুটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ ও শবনম ফারিয়া। পরিচালক এম আই মনির তাঁদের কাছ থেকে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ভোর অবধি সময় নিয়েছিলেন। শুটিং শুরু করলেন বটে কিন্তু লাইট-ক্যামেরার পাশাপাশি বাড়তি চিন্তা হিসেবে যুক্ত হলো ‘নিরাপত্তা’। রাতে বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করার কথা থাকলেও এক রাস্তাতেই শুটিং শেষ করতে হয়েছে তাঁদের।

একে তো আউটডোর শুটিং, তার ওপর রাত। ইস্কাটনের এই রাস্তায় নিয়মিত টহল দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার থেকে সারা দেশে বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এই রাস্তায় পুলিশের টহল বেড়ে যায়। এই ছাপ এসে পড়ে জ্যোৎস্না বিলাস নাটকের শুটিং ইউনিটের ওপর। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুটিং ইউনিটে গিয়ে কথা হয় ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে। বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টা থেকে এসে বসে আছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত শট দিতে পারিনি। পুলিশ এসেছিল, শুটিং করতে নিষেধ করেছে। এর মধ্যে আবার জায়গা বদল করছে ইউনিট।’ নাটকের আরেক অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া বলেন, ‘নাটকের গল্পটি ভালো। এ কারণেই আগ্রহ হয়েছিল। কিন্তু বিপত্তি তো পিছু ছাড়ছে না।’

একটি রাতের গল্পের ওই নাটকটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ছবির হাট, সংসদ ভবন এলাকায় শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। কোনো রকমে ওই রাস্তাতেই এক দিনের শুটিং শেষ করা হয়েছে। বাকি অংশ আপাতত ‘প্যাকআপ’ অবস্থায় আছে। শুধু ইস্কাটনই নয়, ৮ ফেব্রুয়ারির বিশেষ নিরাপত্তার কারণে উত্তরার বেশ কয়েকটি শুটিংবাড়িতে প্যাকআপ হয়েছে শুটিং। শুটিং হাউস অব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমান বললেন, ‘আমার নিজের মালিকানায় দুটি শুটিংবাড়ি আছে। একটিতে আজ (গতকাল) শিহাব শাহীন ভাইয়ের নাটকের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওনার সহকারী গতকাল (বুধবার) রাতে শুটিং প্যাকআপ করে দিয়েছেন। আরেকটিতেও শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও আগেই মানা করা হয়েছে।’

খলিলুর রহমান জানান, অ্যাসোসিয়েশনের তালিকায় আছে উত্তরার আশ্রয়, আপন ঘর ১ ও ২, স্বপ্নিল ২,৩ ও ৪, লাবণী, নীলাঞ্জনা, আনন্দবাড়ি ও হইচই নামের শুটিংবাড়ি। তালিকার বাইরেও আছে চার-পাঁচটি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িতে গতকাল শুটিং হয়নি।

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুটিং প্যাকআপ করেছি। সবার নিরাপত্তা আগে। শুটিং না করায় আমারও ক্ষতি হয়ে গেল। কিন্তু কিছু করার নেই।’

তবে ব্যতিক্রমও আছে। গতকাল একসঙ্গে স্বপ্নিল ২,৩, ৪ নম্বর বাড়িতে শুটিং হয়েছে। তিনটি বাড়ির স্বত্বাধিকারী আবদুল আলিম বলেন, ‘খানিকটা দুশ্চিন্তা ছিল। তবে ভালোয় ভালোয় শুটিং শুরু হয়েছে। তিনটির একটিতে মিউজিক ভিডিও এবং বাকি দুটিতে নাটকের শুটিং হয়েছে।’

স্বপ্নিল ২-তে মীর সাব্বির, জেনি, ফজলুর রহমান বাবুকে নিয়ে একটি ধারাবাহিকের শুটিং করছিলেন নির্মাতা মারুফ মিঠু। বললেন, ‘শুরুতে একটু ভয় ছিল। কিন্তু সুখবর হলো, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় সব অভিনয়শিল্পী ঠিক সময়ে চলে এসেছেন। শুটিংবাড়ির ভেতরে কাজ হচ্ছে। নির্ঝঞ্ঝাটভাবেই কাজ করছি।’