Thank you for trying Sticky AMP!!

কিসের টানে গ্রামে চঞ্চল

চঞ্চল চৌধুরী

স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস হলেও বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি যাওয়া চাই–ই চাই। অভিনয়ের মানুষ চঞ্চলের এই সময়টাতে ঢাকায় ব্যস্ততা যতই থাকুক, এক দিনের জন্য হলেও বাড়ি যেতে হবে। শারদীয় দুর্গোৎসবে এবারও তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটবেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে, সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান।
করোনার প্রকোপে আয়োজনের দিক দিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের পরিসর ছোট করা হয়েছে। চঞ্চলও এবারের পূজায় বাড়ির বাইরে মণ্ডপে যাবেন না বলে জানালেন। ঘরে থেকেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দটা উপভোগ করতে চান।

চঞ্চল চৌধুরী

পাবনার সুজানগর থানার কামারহাটের ছেলে চঞ্চল চৌধুরী তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকায়। মা–বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকায় থাকলেও কখনোই পূজায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ব্যাপারটি মিস করেন না। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। পূজার কয়েকটা দিন একসঙ্গে কাটিয়ে আবার ঢাকায় ফিরবেন।
চঞ্চল বলেন, ‘বছরের এই একটা সময়েই বাড়িতে যাই। এবার করোনার কারণে অনেক দিন বাড়িতে যাওয়া হয়নি। মা–বাবার সঙ্গেও দেখা হয়নি। তাঁদেরও ঢাকায় আনতে পারিনি, আমরাও যেতে পারিনি। পূজার সময়টা তাই কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি।’

চঞ্চল চৌধুরী।

যত ব্যস্ততাই থাকুক, দশমীর দিনে অবশ্য তাঁর পূজায় থাকা চাই। চঞ্চল বলেন, ‘উৎসবকে কেন্দ্র করে ভাইবোন, আত্মীয়স্বজনের একত্র হওয়াই মূল উদ্দেশ্য। বাড়িতে গেলে এমনিতে অনেক লোক আসেন। দেখা করেন, কথা বলেন ও ছবি তোলেন। এবার ওসব আর হবে না। বাড়ির ভেতর থেকে যতটা সাবধানতা মেনে পূজার আনন্দ উদ্‌যাপন করা যায়, তা–ই করব।’

চঞ্চল চৌধুরী।