
চারপাশের দেয়ালে রঙের আঁকিবুঁকি। এর মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন অপর্ণা ঘোষ। সামনে ক্যানভাস। হাতে রংতুলি। শিল্পীর হাত ঘুরে সেই রং বসছে ক্যানভাসে। তারপর যেন কথা বলে উঠছে ক্যানভাসে ছড়ানো রংগুলো। হ্যাঁ, চিত্রশিল্পীর কাজই তো এই। কিন্তু ভাবুন তো, সেই চিত্রশিল্পী যদি হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, তা হলে? ‘মনের ক্যানভাস’ বলে একটা শব্দ আছে বটে। কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিল্পীর মন কতটা শক্তিশালী হলে তবেই জীবন্ত হতে পারে ক্যানভাস, তা-ই যেন বুঝিয়েছেন মাহমুদ দিদার। সিক্সথ সেন্স নাটকটি তাঁরই রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে।
এই নাটকে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চিত্রশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপর্ণা। জানিয়েছেন, নিজের পুরোটা ঢেলে দিয়েই এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অপর্ণা বললেন, ‘আমার কাছে যখন চিত্রনাট্যটি এল, তখন বেশ ভয়েই ছিলাম। তারপর পরিচালকের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াতকে ফলো করতে বললেন। আমি ইউটিউব ঘেঁটে বিপাশা আপুর নাটক এবং তাঁর বিভিন্ন চিত্রকর্ম ও এর প্রদর্শনীর ওপর তৈরি বেশ কিছু ক্লিপস দেখলাম। একজন চিত্রশিল্পীর চরিত্রকে বোঝার জন্য তাঁকে দেখে অনেক কিছুই ধারণ করতে পারলাম। আর অন্ধ চরিত্রটি বোঝার জন্য দেখলাম রানী মুখার্জি অভিনীত ব্ল্যাক ছবিটি।’
পরিচালক দিদার এবং অভিনয়ের বিষয়টি আরও একটু খোলাসা করলেন অপর্ণা। বললেন, ‘এই নির্মাতার সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ, প্রথম চিত্রশিল্পীর চরিত্রে অভিনয়ও। তাও আবার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এই তিন প্রথমের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটতে যাচ্ছে সিক্সথ সেন্স-এর মাধ্যমে।’
মাহমুদ দিদার কাজ শুরু করেছেন তাঁর প্রথম ছবি বিউটি সার্কাস-এর। তিনি বললেন, ‘নাটকটি আমাদের সিনেমার একটা প্রস্তুতির অংশ বলা যায়। কারণ, এখানে প্রচুর রঙের ব্যবহার হয়েছে। আর বিউটি সার্কাস-এও থাকবে রঙের নানান খেলা। তাই আগেভাগে রং সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা নিয়ে রাখলাম।’সিক্সথ সেন্স-এ আরও অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা। শুটিং হয়েছে গত সপ্তাহে। বাকি আরও এক দিনের কাজ। তবে প্রচার হবে কবে কোথায়, আপাতত তা বলতে নারাজ নির্মাতা।