Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ বেতারে 'আমাদের কণ্ঠ'

‘আমাদের কণ্ঠ’ অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও এন্ড্রু কিশোর

সমতলভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার তাদের দিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ করছে। এই অনুষ্ঠান নির্মাণে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ বেতার, হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রাম ও ইউএনডিপি। অনুষ্ঠানের নাম ‘আমাদের কণ্ঠ’। ৫২ পর্ব পর্যন্ত অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতি সোমবার বেলা আড়াইটায় প্রচারিত হবে ২০ মিনিটের এই রেডিও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের কণ্ঠ’ অনুষ্ঠানে থাকছে মাদক সমস্যা, যৌতুক সমস্যা, বেকার সমস্যা, ভাষা ও সংস্কৃতির বিলুপ্তি, ভূমি সমস্যা, সামাজিক স্বীকৃতির অভাব, শিক্ষা গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা, নাগরিক অধিকার বিষয়ে সচেতনতার অভাব ইত্যাদি নানা বিষয়।

অনুষ্ঠানটির জন্য এরই মধ্যে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ও ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার তারকাদের দিয়ে হাজং, গারো, খাসিয়া ও সাঁওতাল ভাষায় একটি গান তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে আরেকটি গান নির্মাণ করা হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন ফেরদৌস হোসেন ভূঁইয়া, সুর করেছেন ফরিদ আহমেদ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও এন্ড্রু কিশোর।

‘আমাদের কণ্ঠ’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা

বাণিজ্যিক কার্যক্রমের পরিচালক মীর শাহ আলমের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানগুলো প্রযোজনা করছেন উপপরিচালক মো. গোলাম রব্বানী। ‘আমাদের কণ্ঠ’ অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি জানান, সমতলভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাদের নিজস্ব ভাষায় ও তাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠান নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবনের সমস্যার সমাধান করার জন্য সচেতনতা তৈরি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ করা এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। এ ছাড়া নাগরিক অধিকার ও সামাজিক সেবাসমূহে নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

মো. গোলাম রব্বানী আরও জানান, ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তরুণ ও যুবনেতাদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী বেতার অনুষ্ঠান নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গারো, সাঁওতাল, হাজং, খাসিয়া, মাহাতো, দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের ২০ জন যুবনেতা অংশগ্রহণ করেন।