Thank you for trying Sticky AMP!!

সেভ দ্য চিলড্রেনের শুভেচ্ছাদূত বিপাশা হায়াত

বিপাশা হায়াত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অনেক গুণ তাঁর। অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা, চিত্রকলায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে চিত্রশিল্পী হিসেবেও নাম করেছেন। তিনি বিপাশা হায়াত। এবার আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের শুভেচ্ছাদূত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, পরিচালক ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে তিনি সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দিলেন। প্রথম দিনেই শিশুদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান।

আজ রোববার সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বিপাশা হায়াতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে বিপাশা হায়াত ঢাকার মুগদায় সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের ‘স্টপ টলারেটিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট চিলড্রেন’ প্রকল্প ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান।

বিপাশা হায়াত বলেন, ‘আমি বহুদিন থেকে পথশিশু, নির্যাতিত শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। আমি যখন থেকে মা, আমার ভেতরে আরেকটি শিশুকে ধারণ করেছি, তখন থেকে শিশুদের প্রতি আমার যে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে, যে মমতা তৈরি হয়েছে, তা কেবল আমার সন্তানদের জন্য নয়, সব শিশুদের জন্যই।’

শিশুদের সঙ্গে বিপাশা হায়াত। ছবি: সেভ দ্য চিলড্রেনের সৌজন্যে

৫০ বছর পূর্তিতে সেভ দ্য চিলড্রেনকে শুভকামনা জানিয়ে বিপাশা হায়াত বলেন, ‘শিশুদের জন্য তারা অতীতে যা করেছে, এখন যা করছে এবং সামনে যা করবে, আমি–আপনি আমরা সবাই তাদের পাশে থাকব।’

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স বলেন, ‘শিশুদের জীবনে সুফল বয়ে আনতে সেভ দ্য চিলড্রেন প্রায় ৫০ বছর যাবৎ বাংলাদেশে কাজ করছে। বিপাশা হায়াতকে আমাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে একই উদ্দেশ্যে কাজ করতে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর প্রতিশ্রুতি এবং কণ্ঠস্বর অবশ্যই আমাদের শিশুদের জন্য উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।’

সেভ দ্য চিলড্রেনের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স। ছবি: সেভ দ্য চিলড্রেনের সৌজন্যে

সেভ দ্য চিলড্রেন শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তাদের প্রতি সহিংসতা, সর্বোপরি জীবনযাপনের অধিকার প্রচার ও রক্ষার কাজ করে। সংস্থাটি বাংলাদেশে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ ও বিশ্বব্যাপী ১০০ বছর যাবৎ কাজ করছে এবং বাংলাদেশে শিশু ও কিশোর-কিশোরী, তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের সরাসরি অংশগ্রহণের ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক কাজ করছে।