Thank you for trying Sticky AMP!!

'আমাকে খুশি করো, কাজ দেব'

এখন ছোট পর্দার কোনো কাজের ব্যাপারে আগ্রহ নেই রিচা ভদ্রের

স্টার প্লাসে ‘খিচড়ি’ সিরিয়ালটির প্রচার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। সেখানে ‘চাক্কি পারেখ’ চরিত্রে অভিনয় করেন শিশুশিল্পী রিচা ভদ্র। এরপর তিনি অভিনয় করেন স্টার ওয়ানের আরেকটি সিরিয়ালে, নাম ‘ইনস্ট্যান্ট খিচড়ি’ (২০০৫)। একই সময়ে স্টার প্লাসের ‘বা বহু ঔর বেবি’ সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এই কমেডি সিরিজে তাঁর চরিত্রটির নাম ‘মিতালি পারভিন থাক্কার’। এরপর রিচা ভদ্র অভিনয় করেন সব টিভির ‘মিসেস টেন্ডুলকার’ নামে আরেকটি কমেডি সিরিজে। এই তিনটি হিন্দি সিরিয়ালে কাজ করে দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হন তিনি। কিন্তু এরপর তাঁকে আর দেখা যায়নি। কয়েক বছর পর মুখ খুললেন। এবার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রিচা ভদ্র জানালেন, কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

রিচা ভদ্র বলেন, ‘গোড়াতে তেমন সমস্যা হয়নি। কারণ শুরুতে আমি ছিলাম শিশুশিল্পী। তখন আমার পরিবারের কেউ সব সময় আমার সঙ্গে থাকতেন। আমার বিয়ের পর যখন কাজের ব্যাপারে আলোচনা করি, অডিশন দিতে যাই, তখন নানা ঝামেলার মুখে পড়তে হয়। একজন প্রযোজক বললেন, কাজ পেতে হলে তাঁকে সন্তুষ্ট রাখতে হবে। বারবার আমাকে আপস করতে বলা হয়। একজন কাস্টিং ডিরেক্টর বললেন, আমাকে খুশি করো, আমি তোমাকে কাজ দেব।’ সেই কাস্টিং ডিরেক্টরের ব্যাপারে রিচা ভদ্র আরও বললেন, ‘তিনি আমাকে একটি হোটেলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বলেছিলাম, আমি কফিশপে দেখা করতে চাই।’

শিশুশিল্পী হিসেবে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঝকমকে ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক। নানা হেনস্তার শিকার হতে হয়। রিচা ভদ্র জানালেন, যখনই কাজের চেষ্টা করেছেন, তখন এমনই কিছু মানুষের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি তাঁকে কিছু সাহসী চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রাজি হননি। যেহেতু তিনি কারও সঙ্গে আপস করেননি, তাই ছোট পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন তাঁর শেষ হয়ে যায়। বললেন, ‘আমি, আমার পরিবার কিংবা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে পারব না। শিল্পী হিসেবে যে ইমেজ তৈরি করেছিলাম, সেটা ভাঙতে চাইনি।’

রিচা ভদ্রের এ সময়ের অভিজ্ঞতা হলো, অনেক নির্মাতাই তাঁর শারীরিক গড়ন নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। কেউ বলেন ওজন ঝরাতে হবে, আবার কেউ বলেন মোটা মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে। এসব আর ভালো লাগে না তাঁর। তাই এখন ছোট পর্দার কোনো কাজের ব্যাপারে আগ্রহ নেই। এককথায়, ছোট পর্দা বিদায়!