Thank you for trying Sticky AMP!!

‘মিউজিক@ডেস্ক’ শিরোনামের সংগীত আয়োজনে গান শুনিয়ে গেলেন এ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।

‘মিউজিক@ডেস্ক’–এ অদিতি মহসিন

হেমন্তের হালকা শীতবিকেলে প্রথম আলো কার্যালয়ে সুরে মাদকতা ছড়ালেন অদিতি মহসিন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পত্রিকাটির  ‘মিউজিক@ডেস্ক’ শিরোনামের সংগীত আয়োজনে গান শুনিয়ে গেলেন এ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
ঢাকার প্রথম আলো কার্যালয়ের সপ্তম তলায় বিকেল পৌনে চারটার দিকে শ্রোতাদের সামনে আসেন অদিতি মহসিন, গানে যাওয়ার আগে বলেন, ‘কাজের মধ্যে গান, এটা একেবারেই ভিন্নধর্মী ব্যাপার।’ বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন। আয়োজনের শুরুতেই তাই শোনালেন একটা দেশের গান, ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা’।

যন্ত্রশিল্পীদের মধ্যে বেহালায় সুনীল দাস, তবলায় সুবীর ঘোষ ও কি–বোর্ডে রবিনস চৌধুরী ছিলেন।

গানের কথা, বেহালার সুর আর অদিতির গায়কি, ত্রয়ীর মিলনে ফ্লোরজুড়ে নেমে আসে নীরবতা; হৃদয়ের গহিনে নীরবে বেজে চলে কোমল সুর। গান শেষে বিভোর শ্রোতার নীরবতা ভাঙে; করতালিতে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতা। শিল্পী এরপর পরিবেশন করেন, ‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটকের গান ‘তোমায় গান শোনাব’ কণ্ঠে তোলেন অদিতি, তাঁর কণ্ঠ থেকে গানটি ক্রমেই শ্রোতাদের কণ্ঠেও ছড়িয়ে পড়ে। তারপর শ্রোতাদের সঙ্গে মিশে মিশে পরিবেশন করলেন ‘ও যে মানে না মানা’।

‘তুমি কি কেবলই ছবি’ পরিবেশনের আগে অদিতি জানান, নিজের অনেক কবিতায় পরে সুরারোপ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; এটি তেমনই একটি কবিতা। বৌঠান কাদম্বরী দেবীর স্মরণে লেখা হয়েছিল এই কবিতা। এরপর পরিবেশন করেন ‘গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ’; তার সঙ্গে শ্রোতারাও গাইতে থাকেন। আয়োজনের শুরুর মতো শেষ গানটিও ছিল দেশাত্মবোধক, ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’।

যন্ত্রশিল্পীদের মধ্যে বেহালায় সুনীল দাস, তবলায় সুবীর ঘোষ ও কি–বোর্ডে রবিনস চৌধুরী ছিলেন।

অদিতি মহসিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান

কাজের ফাঁকে কর্মীদের বিনোদন দেওয়ার জন্য প্রথম আলো মাসের একটি দিন সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকালের আয়োজনটি সম্পাদক মতিউর রহমানসহ প্রথম আলোর কর্মীরা উপভোগ করেন।

Also Read: মিউজিক @ ডেস্ক || এবারের কনক আদিত্য

Also Read: মিউজিক @ ডেস্ক || এবারের শিল্পী হায়দার হোসেন