Thank you for trying Sticky AMP!!

সেই ১০০১ সিনেমার তালিকায় ভারতের যে ১২টি সিনেমা অবশ্যই দেখা উচিত (পর্ব: ১)

চলচ্চিত্র সমালোচক ও প্রযোজক স্টিভেন জেস্নাইডার। তিনি একবার হলিউডের সিনেমা নিয়ে তালিকা তৈরি করতে বসেন। তখন তাঁর মনে হয়, শুধু হলিউড নয়, সারা বিশ্বের সেরা সিনেমা নিয়ে একটা তালিকা তৈরি করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই ২০০৩ সালে একটি বই বের করেন। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সেই বইয়ের নাম দেন—‘এক হাজার একটি মুভি মৃত্যুর আগে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে’। প্রশংসিত হয় এ তালিকা। এ তালিকায় ভারত থেকে জায়গা পায় ১২টি সিনেমা।
তালিকার এই ১২টি সিনেমার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সিনেমা ‘প্রপঞ্চ পাশ’। নির্বাক সিনেমাটি মুক্তি ১৯২৯ সালে। বিয়ের আগে বাজিতে হেরে রাজা থেকে দাস হওয়ার গল্পটি দারুণভাবে ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। সিতা দেবী, হিমাংশু রায়, চারু রায়সহ অনেকে অভিনয় করেছেন এ সিনেমায়।
তালিকায় পরবর্তী অবস্থানে আছে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’। ১৯৫৫ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায় এবং সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এখনো এটি কালজয়ী সিনেমার তালিকায় রয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের আরেক সিনেমা ‘অপরাজিত’ তালিকার ৩ নম্বরে রয়েছে। সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনেতা অপুর বাবা মারা যাওয়ার পরের সংগ্রামের গল্প সিনেমায় উঠে এসেছে। সিনেমাটি ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায়।
জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির সময়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ‘জলসাঘর’ সিনেমায়। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি এখনো দর্শকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। সিনেমায় জমিদার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছবি বিশ্বাস।
সত্যজিৎ রায়ের অপুর ট্রিলজি সিনেমার শেষ পর্ব ‘অপুর সংসার’। ১৯৫৯ সালের মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাও রয়েছে এ তালিকায়। সিনেমায় অপু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। এ ছাড়া অপুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শর্মিলা ঠাকুর। সিনেমাটি বাফটায় মনোনয়ন পেয়েছিল। বাকি ৬টি সিনেমা পর্ব-২-এ দেখুন।
১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া আরেক সিনেমা ‘মাদার ইন্ডিয়া’। সিনেমাটিকে বলা হয় ভারতীয় মহাকাব্যিক নাট্য চলচ্চিত্র। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গল্প এটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মেহবুবখান। অভিনয়ে ছিলেন নার্গিস, সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার, রাজ কুমারসহ অনেকে।