Thank you for trying Sticky AMP!!

অনেক কথা বা শব্দ কানে যায় না কেন

আপনি ওয়ানওয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। পেছন থেকে একটা রিকশা বেল দিচ্ছে, কিন্তু আপনার কানে তা যাচ্ছে না। রিকশাটা হুড়মুড় করে ঘাড়ে এসে পড়ার পর আপনার সংবিৎ ফিরল। এতক্ষণ আপনি শোনেননি, কারণ আপনি স্থির নিশ্চিত ছিলেন যে ওই ওয়ানওয়ে রাস্তায় পেছন দিক থেকে কোনো গাড়িঘোড়া আসার আশঙ্কা নেই। আর রিকশা তো কোনোভাবেই নয়। কারণ, ওই রাস্তায় রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। এরপরও যেকোনো রিকশা আইন ভেঙে আপনার ঘাড়ে এসে পড়বে, সেটা আপনার ধারণায় ছিল না। তাই রিকশার বেল আপনার কানে ঢোকেনি।

Also Read: মানুষ তাঁদের আইফোনের খালি বাক্স ফেলে দেন না কেন

এ ব্যাখ্যা যুক্তিসঙ্গত; কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন শব্দটা শুনতে হবে আর কোনটা শোনার দরকার নেই, তা কে ও কীভাবে ঠিক করে? এটা স্থির করা হয় মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে। এ অংশের নাম ব্রেইন স্টেম। এখানে ক্ষুধা ও শ্বাস–প্রশ্বাসের প্রতিবর্তী ক্রিয়া (রিফ্লেক্স অ্যাকশন) নিয়ন্ত্রিত হয়। এ অংশ মস্তিষ্কের ফিল্টার হিসেবেও কাজ করে। অযাচিত শব্দ, গন্ডগোল বা সংকেত সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব পালন করাই এর কাজ। সে বেছে বেছে শুধু সেসব শব্দই শোনায়, যেগুলো শোনা দরকার। অবশ্য দরকার বা অদরকারের জটিল ব্যাপারটা যুক্তিসিদ্ধ বিবেচনার দ্বারা চালিত হয়ে মস্তিষ্কই সিদ্ধান্ত নেয়। মস্তিষ্কের এই ফিল্টার যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে চারপাশের সব শব্দ ও গন্ডগোল কানে-মাথায় ঢুকে পুরো সিস্টেম অচল করে দেয়। মাইগ্রেন বা অসহনীয় মাথাব্যথা রোগের একটি কারণ এটি বলে ধারণা করা হয়।

Also Read: স্মার্টফোনের স্বচ্ছ কভার ব্যবহারে হলদেটে হয় কেন