Thank you for trying Sticky AMP!!

অন্দরে ভাষার আবহ

অন্দরসাজের উপকরণে বাংলা অক্ষর। কৃতজ্ঞতা: দেশী দশ, ছবি: নকশা

বাড়িতেও আনতে পারেন ভাষার আবহ। বিশেষ করে বাংলা বর্ণমালা নানাভাবেই আসতে পারে অন্দরসাজে। কেবল দিবসভিত্তিক আয়োজন হিসেবেই নয়, পরিবারের সবার মধ্যে ভাষার প্রতি একটা অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারে এমন অন্দরসজ্জা।

ডিজাইন কোড ইন্টেরিয়রের পরামর্শক আবদুল্লাহ আল মিরাজ জানান, সাদা আর কালোর সমন্বয়ের পাশাপাশি ধূসরও আসতে পারে অন্দরসজ্জায়। সাদা আর কালোর মিশ্রণেই হয় ধূসর। এ ছাড়া অল্প পরিসরে লাল রংও আনা যেতে পারে। অন্দরে বর্ণমালা তুলে ধরতে এ রংগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে কালোর আধিক্য থাকলে ঘর অন্ধকার দেখায়। তাই ভারসাম্য রাখতে কালোর তুলনায় সাদার পরিমাণটা বেশি রাখতে হবে।

অন্দরসজ্জার নানা মাত্রা
শোবার ঘরে বিছানার চাদর ও নকশিকাঁথা, বসার ঘর আর পারিবারিক ঘরের কুশন কভার ও সোফার কভার, খাবার ঘরের টেবিলে ম্যাট ও রানার হতে পারে সাদা-কালো রঙের। পর্দা, কার্পেট বা ফ্লোরম্যাটও হতে পারে এই রংগুলো দিয়ে। শহীদ মিনারের শোপিস বা কলমদানি রাখতে পারেন ঘরে। এ ছাড়া রাখতে পারেন বর্ণমালা থিমের মোম। আড়ং, সাদাকালো, অঞ্জন’স, কে ক্র্যাফট, বাংলার মেলা, নিপুণসহ দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে এসবের খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

দেয়ালজুড়ে ভাষা
ঘরের একটা দেয়ালে প্রকাশ করতে পারেন বাংলা ভাষার জন্য ভালোবাসা। সাদা–কালো থিমের ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন এই দেয়ালে। তা না পেলে, ভালো রেজল্যুশনের ছবির সাহায্য নিতে পারেন। বাংলা বর্ণ, শব্দ, বাক্যাংশ, কবিতার চরণ, অণুকাব্য—যেকোনো কিছুই থাকতে পারে দেয়ালজুড়ে। রং কিংবা কাঠের বর্ণ হতে পারে সাজানোর উপকরণ। কাঠের বর্ণ অনেক সময় বিভিন্ন মেলায় কিনতে পাওয়া যায়। পথের ধারেও কখনো কখনো পাওয়া যায়। ভাষার জন্য ভালোবাসার এ দেয়াল থাকতে পারে সারা বছর। শিশুরাও জানবে নিজের ভাষাকে। অনুভব করবে ভাষার মর্যাদা।

বর্ণ থাকুক এখানে-ওখানে
বাতাসে নড়ে, এ রকম জিনিস দরজা বা জানালা, যেখানেই ঝোলানো হোক, সেটির সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে পারেন কাঠের একেকটি বর্ণ। ফটোফ্রেম, ফুলদানি বা অন্য শোপিসেও এ রকম বর্ণ বসিয়ে নিতে পারেন বা রং করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, যদি তা মানানসই হয়।