Thank you for trying Sticky AMP!!

আবৃত্তির জয়ধ্বনি

অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকেরা

২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাচিক চর্চাভিত্তিক ক্লাব ‘কণ্ঠ্য: বুয়েট’–এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘জয়ধ্বনি: আন্তবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা’। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে অংশগ্রহণ করেন ৩০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।
সবাই যখন ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটছে, ক্লাস-পরীক্ষা-নম্বর যেখানে দম ফেলার ফুরসত দিচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তি চর্চার সময় কোথায়? কণ্ঠ্য: বুয়েট অবশ্য এই ধারণা ভুল প্রমাণ করে নিয়মিতই আয়োজন করছে আবৃত্তির নানা অনুষ্ঠান। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবৃত্তিশিল্পীরা। অনুষ্ঠান শেষে কথা হলো কণ্ঠ্য: বুয়েট–এর সভাপতি মুনতাসির হাসানের সঙ্গে। বললেন, ‘এ ধরনের আয়োজন আমরা আরও বেশি করতে চাই, কিন্তু আমাদের সামনে নানা প্রতিবন্ধকতা আছে। গান বা নাচের অনুষ্ঠানে যে রকম পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়, আবৃত্তির ক্ষেত্রে সে রকম পাওয়া খুব কঠিন। তারপরও আমি আশা করি, কণ্ঠ্য: বুয়েট সামনের দিনগুলোতে শুদ্ধ বাচিক চর্চার জন্য বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রাখবে।’
একক, দ্বৈত, দলগত—তিনটি বিভাগে আবৃত্তির প্রতিযোগিতা হয় এই আয়োজনে। এককে প্রথম হয়েছেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী হেমদীপা চৌধুরী, দ্বৈত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ সাফায়েত আহমেদ ও মুনতাহা তাবাসসুম এবং দলীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ধ্বনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের পরিচালক এনামুল কবির। তিনি আবৃত্তির মতো সাংস্কৃতিক চর্চায় সবাইকে আরও গুরুত্ব আরোপ করতে বলেন এবং মেধা ও মননের বিকাশে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। আর কণ্ঠ্য: বুয়েট–এর মডারেটর, অধ্যাপক সেলিয়া শাহনাজ বাংলা ভাষায় প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে সবাইকে কাজ করতে অনুরোধ করেন।