Thank you for trying Sticky AMP!!

আমি যা করছি

এসএসসি পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম, অনেক জায়গায় ঘুরব। দাদুবাড়ি, নানুবাড়ি, মামা, চাচা, ফুফু—সবার বাসায় যাব। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন ঘরে বন্দী হয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় কী?

প্রথম কয়েক দিন একঘেয়েমি লাগলেও পরে সময়টা কাজে লাগানোর দারুণ কিছু উপায় খুঁজে পেয়েছি আমি। প্রথমে শেখার চেষ্টা করলাম রান্না। বিকেলের নাশতার দায়িত্ব নিলাম আমি। কেক, বিস্কুট, মিল্কশেক এখন নিজেই বানাতে পারি। মাঝেমধ্যে মাথায় সুর খেলা করলে বসে যাই কাগজ–কলম নিয়ে। গিটার নেই তো কী হয়েছে, গুগল স্টোরের গিটার অ্যাপ তো আছেই। ডাউনলোড করে বাজালেই হলো। বন্ধুদের সঙ্গে ব্যান্ড খুলতে চাই, কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। সমাধান হলো সবার বাসার বারান্দা। সবাই নির্দিষ্ট একটা সময়ে বারান্দায় বসে শুরু করলাম আমাদের ব্যান্ড। ব্যস, মাতিয়ে রাখলাম আমাদের পাড়াটাকে সুরের মূর্ছনায়। করোনাভাইরাস আসার আগে ১০টি বই কিনেছিলাম। সেসবও পড়ছি। সঙ্গে চলছে আমার ছবি আঁকা আর লেখালেখি। পাশাপাশি অনলাইনে কিছু কোর্সও করছি। ইউটিউবে আছে কত টিউটরিয়াল; চাইলেই শিখে নিতে পারি প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষার কৌশল। ঘরে বসেই শেখা যায় কারাতে, তায়কোয়ান্দোর প্রাথমিক কায়দাকানুন। ইউটিউব দেখে যোগব্যায়ামের হাতেখড়িও হতে পারে। আর এর মধ্যে আমি দেখে ফেলেছি জোকার, রালফ ব্রেকস দ্য ইন্টারনেট, আয়রন ম্যানসহ চমৎকার কিছু সিনেমা। এ ছাড়া শিখছি অরিগ্যামি, চলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও।

গোল্লাবন্ধুদের বলছি, এই ছুটির সময়টা কীভাবে কাটাবে, তা নির্ভর করছে একেবারেই তোমার ওপর। তাই সুস্থ থেকে সময়টা কাজে লাগাও। শুভেচ্ছা রইল।

দশম শ্রেণি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর