Thank you for trying Sticky AMP!!

এক কাজে থাক মনোযোগ

মাল্টিটাস্ক কথাটি আজকাল বেশ আলোচিত হচ্ছে। বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ‘একসঙ্গে বহু কার্য’ ধারণাটি জমিয়ে বসেছে বেশ। কম্পিউটারের বৃহৎ পর্দা থেকে মুঠোফোনের ক্ষুদ্র পর্দা, চোখ রাখলেই দেখা যায় তাতে একাধিক কাজ চলছে তুমুল গতিতে। ব্যবহারকারী কারও সঙ্গে চ্যাটিং করছেন তো পাশাপাশি চলছে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ পাঠ। কাপড় ইস্তিরির পাশাপাশি কাঁধের চাপে কানে বসে আছে ফোন, চলছে দূরালাপ। এই যে মাল্টিটাস্কিংয়ের রমরমা জয়জয়কার, আদতে কাজের কাজ হচ্ছে কতটুকু? গবেষণা বলছে, মাত্র ২ শতাংশ মানুষ মাল্টিটাস্কে সফল হয়ে থাকেন। আসলে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনো কাজেই নিবিড় মনোযোগ দেওয়া সম্ভবপর হয় না। ভুল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাও যেমন থাকে, তেমনি অযথা বাড়তি পরিশ্রমও হয়। এ ভাবনা থেকেই মাল্টিটাস্ক ধারণাটির বিপরীতে শুরু হয় একা টাস্ক বা লিনিয়ার টাস্ক তথা একরৈখিক কাজের ধারণা। আর এই ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য বৈশ্বিকভাবে শুরু হয় ‘সিঙ্গেল টাস্কিং দিবস’ উদ্‌যাপন। ২২ ফেব্রুয়ারি তথা আজ সিঙ্গেল টাস্কিং দিবস। ধারণা করা হয়, ২০১৫ সাল থেকে উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিবসটি।

কীভাবে উদ্‌যাপন করবেন আজকের দিনটি কিংবা কীভাবে গড়ে তুলবেন একা টাস্কিংয়ের অভ্যাস? বিক্ষিপ্ততা ঝেড়ে ফেলে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন। সারা দিনের কাজগুলোর ছোট একটি তালিকা এবং প্রতিটি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বণ্টন করে নিন। ধারাবাহিকভাবে একটির পর একটি কাজে মনোনিবেশ করুন। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য লেখক ও ন্যাচারোপ্যাথিক চিকিৎসক জেমস রোজ দিয়েছেন সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ। অনুসরণ করে দেখতে পারেন পরামর্শগুলো। হাতের মুঠোফোন দূরে রাখুন, জানালা খুলে সকাল উপভোগ করুন। সপ্তাহের একটি দিন বাছাই করুন, যেদিন সারাটা দিন ফোন, কম্পিউটার, মেইল, চ্যাটিং প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবেন। বিরক্তিকর কোলাহলে নিজেকে কেন্দ্রীভূত করতে হাতের মুঠোফোন তুলে নিন এবং মজাদার কোনো লেখা পড়ুন। যেকোনো কঠিন কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিন। তাতে আগে থেকেই আপনার মন ও শরীর কাজটির জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকবে।

সূত্র: ডেইজ অব দ্য ইয়ার ও হ্যাপি ডেইজ ৩৬৫