Thank you for trying Sticky AMP!!

এ সময়ের ব্যায়াম

সুস্থ থাকতে হলে রোজায় ব্যায়াম একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না, করতে হবে হিসাব করে। ছবি: অধুনা
>রোজার দিনে সাধারণ সময়ের থেকে কিছুটা কম ভারী ব্যায়াম করা ভালো। রোজায় যেহেতু সবকিছুর সময় পরিবর্তন হয়, তাই আলাদা করে কেউ জিমে যেতে চাইলে সেটা একটু কষ্টসাধ্য। বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজই এই সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে। হাঁটাহাঁটির জন্য সকালের সময়টা বেশ ভালো।

রোজায় সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে ক্লান্তিতে আর কোনোভাবেই ব্যায়াম করতে ইচ্ছা করে না। ইফতারে যেহেতু সাধারণভাবেই একটু তেলে ভাজা খাবার খাওয়া হয়, তাই মেদ বা চর্বি জমে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। সারা দিন না খেয়ে থাকায় অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি খাওয়াও হয়ে যায় তখন। রাতে ওঠার বিরক্তিতে অনেকেই সাহ্‌রি খান না। সে ক্ষেত্রে রাতে একবার খেয়ে ইফতারির আগে সময়ের ব্যবধানে মেটাবলিজম কাজ করা কমিয়ে দেয়। আবার অনেক বেশিও খাওয়া হয়ে যায়। তাই রোজায় কিন্তু ওজন কমার থেকে বাড়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। রোজায় সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম একেবারে বাদ না দিয়ে করতে হবে হিসাব করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে হালকা ব্যায়াম করে নেওয়া ভালো। শুয়ে শুয়ে পেটের ওপর দুই হাত একসঙ্গে রেখে নাক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। এতে যেমন ফুসফুস ভালো থাকবে, তেমনি ঘুম ভালো হবে। যেহেতু রোজায় রাতে একবার উঠে আবার ঘুমানো হয়, তাই সে সময়টা ঘুমে একটু সমস্যা হয় প্রায় সবারই। সে ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে অন্তত ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
রোজার দিনে সাধারণ সময়ের থেকে কিছুটা কম ভারী ব্যায়াম করা ভালো। রোজায় যেহেতু সবকিছুর সময় পরিবর্তন হয়, তাই আলাদা করে কেউ জিমে যেতে চাইলে সেটা একটু কষ্টসাধ্য। বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজই এই সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে।
হাঁটাহাঁটির জন্য সকালের সময়টা বেশ ভালো। বিকেলে শরীর ক্লান্ত হতে শুরু করে। এ ছাড়া যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে বিকেলে শর্করার পরিমাণ থাকে সব থেকে কম। সকালে সম্ভব না হলে ইফতারের পর হাঁটতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, ভরা পেটে হাঁটাহাঁটি করা যাবে না একেবারেই। পুষ্টিবিদেরা বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় একটু কম হাঁটা যেতে পারে রোজায়। হাঁটা সম্ভব না হলে একদিন পরপর বা সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন ব্যায়াম করতেই হবে।
রোজায় ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কার্ডিও অ্যাক্টিভিটি ভালো কাজে আসে। এ সময় ভারী ব্যায়াম করলে মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে। ব্যায়াম করে ঘেমে গেলে তা মুছে আগে শরীর ঠান্ডা করে নিতে হবে।
সূত্র: দ্য ডেইলি বার্ন