Thank you for trying Sticky AMP!!

কাচের ঘরে খাওয়াদাওয়া

কাচের ঘরে খাওয়াদাওয়া

মাথার ওপর কাচের ছাদ। তার ওপর পানি। ঢেউখেলানো পানি আঁকিবুঁকি করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে মাথার ওপর দিয়েই। ধীরলয়ে গড়িয়ে পড়ছে একপাশে। পানি পড়ার শব্দটা বৃষ্টির মতো। মনে হতেই পারে মুষলধারে ঝরা বৃষ্টিতে খেতে বসেছেন আপনি! ‘খেতে বসেছেন’ শুনে অবাক হবেন না, যে জায়গাটার কথা বলা হচ্ছে সেটা আদতে একটা রেস্তোরাঁ। খানাপিনার সঙ্গে এমন আবহ পাওয়া যাবে এখানেই। এই রেস্তোরাঁর নাম দ্য গ্লাস হাউস ব্রাসারি। তবে গুলশানবাসীর কাছে পরিচিত এক নামে—‘গ্লাস হাউস’। নামের সঙ্গে মিলিয়ে অমন জুতসই অন্দরসাজ মানিয়ে গেছে সহজেই। তবে পুরো রেস্তোরাঁয় এমনটা নয়।
দুই হাজার ৮০০ বর্গফুটের রেস্তোরাঁর একপাশটায় বসলে রোদ, বৃষ্টি এবং ভিন্ন রকম অনুভূতি ছুঁয়ে যায়। অবশ্য কাচঘেরা জায়গাটার আলাদা একটা নামও আছে। টেরেস! নাম শুনে যতটা অভিভূত হবেন তার চেয়ে বেশি দ্রবীভূত হবেন সেই ‘টেরেস’-এ পা রাখলে।
গল্প যখন রেস্তোরাঁ নিয়ে খাওয়াদাওয়ার আলাপ আগে সেরে নেওয়াই ভালো। কী পাওয়া যায় এই গ্লাস হাউসে? উত্তরটা দিলেন রেস্তোরাঁর মহাব্যবস্থাপক সালেহ করিম। ‘এখানে মূলত কন্টিনেন্টাল ও থাই খাবার বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য খাবারও পরিবেশন করা হয়। আছে নানা ধরনের ডেজার্ট ও স্যুপ খাওয়ার সুবিধা।’ কন্টিনেন্টাল খাবারের মধ্যে রয়েছে অরিজিনাল গ্রিল চিকেন, বারবিকিউ গ্রিল চিকেন, সস ভিডা সুপ্রিম চিকেন, মিক্সড প্লাটার ও অন্যান্য পদ। থাই খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিমসাম চিকেন, ডিমসাম সিফুড, সম টাম পাপায়া সালাদসহ নানা পদের খাবার। এখানেই শেষ নয়, আছে দেশি-বিদেশি আরও কিছু খাবার। তবে সালেহ করিম জানালেন, কোনো পার্টি থাকলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয়। চাইলে তেহারি থেকে শুরু করে ঢাকাই মোরগ-পোলাও পর্যন্ত করে দেওয়া সম্ভব।
গুলশানের ১১৩ নম্বর রাস্তার ৬/এ নম্বর বাড়ির সাততলার এ রেস্তোরাঁয় হরহামেশাই পার্টি লেগে থাকে। একসঙ্গে শতাধিক অতিথির বসার সুবিধা আছে এখানে।