Thank you for trying Sticky AMP!!

গরমে আরামের জন্য ফ্যান

পড়েছে গরম, তাই ফ্যানটাও এখন ঘুরতে শুরু করছে। কৃতজ্ঞতা: ভিশন ইলেকট্রনিকস। ছবি: অধুনা

আবহাওয়া জানান দিচ্ছে গরম এসেছে। সিলিং ফ্যানের চাহিদা তাই বেড়ে চলছে। বাজার ঘুরে খোঁজখবর দেওয়া হলো।

চাহিদা বেশি
বাজারে আছে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক পাখা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে নিত্যনতুন নকশাও যোগ হচ্ছে ফ্যানে। ফ্যানের কথা বললেই যা প্রথমে মাথায় আসে তা হচ্ছে সিলিং ফ্যান। সাধারণত তিনটি পাখা আর মধ্যের একটি গোলাকার মসৃণ প্লেট নিয়ে গঠিত এই ফ্যান। লম্বা একটি লোহার স্ট্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করে এটি ঝোলানো থাকে।

ধরন
নিউমার্কেটের মায়ের দোয়া দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. মামুন মিয়া জানান, সিলিং ফ্যানই বেশি চলছে। সাধারণত বাসাবাড়িতে তিন পাখার ফ্যানই বেশি ব্যবহার করা হয়। যেকোনো ধরনের আসবাব বা ঘরের আকৃতির সঙ্গে এটি মানানসই। বর্তমানে সাদা, কালো, হালকা বাদামি কিংবা চাপা সাদার মধ্যে সোনালি কারুকাজ ও বিভিন্ন নকশার সিলিং ফ্যান রয়েছে। পাখার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম নকশা। ঘরের মেঝে ও সিলিংয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব কম হলে লো প্রোফাইল সিলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের সিলিং ফ্যানের আকৃতিও খানিকটা ছোট এবং পাখা তিনটিই মানানসই। সাধারণত বড় আকারের বসার ঘর কিংবা পড়ার ঘরে লম্বা আকারের সিলিং ফ্যান ব্যবহার করলে ভালো। এতে পুরো ঘরেই বাতাস পাওয়া যায়।

পাখার সংখ্যা
আগেকার দিনে সেই তিন পাখাযুক্ত ফ্যানের চলন ছিল বেশি। এখন আর তিন পাখার মধ্যে সীমিত নেই। রামপুরায় এক ফ্যান বিক্রয়কর্মী মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফ্যান রয়েছে। সিলিং ফ্যানের পাখার সংখ্যা তিন থেকে পাঁচের মধ্যে।

ছবি: অধুনা

রকমভেদ ও সুবিধা
ভিশন ইলেকট্রনিকসের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মাহাবুবুর রহমান জানান, আরএফএলের ভিশনের মোট ১১টি মডেলের ফ্যান বাজারে পাওয়া যায়। আর ৫৬, ৪৮, ৩৬ এবং ২৪ ইঞ্চি—এই চারটি সাইজের সিলিং ফ্যান পাওয়া যায়।
ভিশনের সুপার সিলিং ফ্যান চলে যুগের পর যুগ। এতে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী উন্নত মানের বিয়ারিং। রয়েছে অ্যারো ডাইনামিক অ্যালুমিনিয়ামের পাখা, শব্দহীন মোটর। উন্নত মানের ক্যাপাসিটর এবং ৯৯.৯ শতাংশ পিওর কপার ওয়্যার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী, টেম্পার ৬ অ্যালুমিনিয়ামের শিটের অ্যারোডাইনামিক পাখায় বাতাস ছড়ায় সবখানে সমানভাবে। মাহাবুবুর রহমান জানান, তিন বছরের মধ্যে ভিশন ফ্যানের টাকা উশুল হয়। এই ফ্যান প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বাঁচায় ১০.৭ ইউনিট। ফলে তিন বছরে খরচ উঠে যায়।

কোথায় পাবেন
ঢাকার নিউমার্কেট, বায়তুল মোকাররম, স্টেডিয়াম মার্কেট, চকবাজার, বসুন্ধরা শপিং মল ও নবাবপুর মার্কেটে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ডিজাইন ও ওয়াটের ফ্যান। ভিশন, ওয়ালটন, সিঙ্গারের শোরুম থেকেও কিনতে পারেন।

দারদাম
একেকটির ডিজাইন, রং ও পাখাযুক্ত ফ্যানের দাম ভিন্ন। তেমনি দাম অনেকাংশে নির্ভর করবে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর। আরএফএলের ভিশনের ফ্যানের দাম ২ হাজার ১৫০ থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকা। সিঙ্গার, ওয়ালটন, গাজী, বিআরবি, প্যারাডাইস, সুপারস্টার, ন্যাশনাল, তুফান প্রতিষ্ঠানের ফ্যানের দাম পড়বে ১ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।

খেয়াল রাখুন
 ফ্যান কেনার সময় এর ওয়ারেন্টি কিংবা গ্যারান্টির মেয়াদ বুঝে নিন।
 মাসে একবার হলেও ফ্যান পরিষ্কার করা উচিত। ডিটারজেন্টযুক্ত পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিতে পারেন।
 ফ্যান ও এয়ারকন্ডিশনার একই সঙ্গে না চালানোই ভালো।