Thank you for trying Sticky AMP!!

গরমে চুলের যত্ন

বইছে গ্রীষ্মের বৈরী হাওয়া। বাইরে বের হলে রেহাই নেই রোদের প্রখরতা থেকে। আর সূর্যের উত্তাপটা যেন ছড়ায় একেবারে শিরোদেশকে উদ্দেশ করেই। ঘেমে-নেয়ে চুলের চিটচিটে অবস্থা। এ থেকে মাথায় খুশকি, চুল নিষপ্রাণ হয়ে যাওয়া, চুল পড়ার মতো সমস্যার সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এ সমস্যার সমাধান কি?
ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্ম বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, ‘গরমে ঘাম ও ধুলাবালুর কারণে চুলের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের উপদ্রব হতে পারে। তাই এ সময় সবচেয়ে জরুরি হলো চুল পরিচ্ছন্ন রাখা।
তিনি মনে করেন, এ সময়ে প্রয়োজনে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। শ্যাম্পুর কাজ হচ্ছে চুল পরিচ্ছন্ন করা। এ ছাড়া খুশকির জন্য চুল পড়ছে, এ ধারণাও ভুল। বরং গরমে চুল ঘেমে গেলে চুলের গোড়ায় চুলকানো ও চুল টানার কারণে গোড়া নরম হয়ে চুল পড়তে থাকে। তাই এ অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।
এর পাশাপাশি ঘামের সমস্যা কমাতে উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, গরম আবহাওয়া যথাসম্ভব পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। গরমের সময় গরম চা, গরম কফি, বেশি ঝাল খাবারও পরিহার করতে হবে।

এ সময়ে চাই চুলের জন্য বিশেষ কিছু পরিচর্যা।হেরোবিক্স ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন দিয়েছেন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
 গরমের দিন গরমকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে চাইলে ঘামকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হতে পারে। বাতাস চলাচল করে এ রকম জায়গা দিয়ে চলাফেরা করলে ঘাম কম হয়।
 চুলের গোড়া ঘেমে গেলে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে পাখার ঠান্ডা বাতাসে চুলটা শুকিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ঘামে ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে।
 ধুলাবালু ও ঘামের কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে প্রয়োজনে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু করার পর চুলের গোড়ায় যেন বাড়তি শ্যাম্পু না লেগে থাকে।
 যাঁদের খুশকির প্রবণতা বেশি, তাঁরা খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে এর আগে মাথায় ত্বকে তেল দিয়ে মালিশ করে নিন। এটি আপনাকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের সুফল দেবে।
 যাঁদের চুল খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহারে নিষ্প্রাণ হয়ে যায়, তাঁরা খুশকিনাশক তেল ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
 চুলের পরিচর্যার জন্য টক দই, মেহেদি পাতা, মেথি গুঁড়া ও কাগজি লেবুর কয়েক ফোঁটা রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। টক দই করবে ময়েশ্চারাইজারের কাজ। মেথি গুঁড়া খুশকি দূর করবে এবং চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াবে কাগজি লেবুর রস। এভাবে মাসে অন্তত এক দিন যত্ন নিন।
 চুল দিন দিন নিষপ্রাণ হয়ে যাচ্ছে, এমন মনে হলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। যা পারলারে গিয়ে করতে পারেন।আর ঘরে বসে করতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ, পাকা কলা, টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
 চুল পড়া কমাতে আমলকীর রস ও ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
 এ সময় চুলটা আঁটসাঁট করে না বেঁধে পাঞ্চ ক্লিপে হালকা করে আটকে নিন। ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই চুলের এমন কোনো কাট দিন, যেটি গরমের সময় আরামদায়ক।
 চুল শুকাতে বা ঘাম শুকাতে হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস পরিহার করুন।
 প্রখর রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।