Thank you for trying Sticky AMP!!

জীবনযুদ্ধের প্রেরণা পেলেন চার শতাধিক তরুণ-তরুণী

ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবে প্রশ্ন করছেন এক তরুণী। গতকাল কক্সবাজারে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলো

‘লেখাপড়া শেষ করে কী করব, এ নিয়ে চরম হতাশা ও ভয় মনের মধ্যে কাজ করত। আজ তারুণ্যের জয়োৎসবে যোগ দিয়ে আমার সেই ভয় কেটে গেছে। দারুণ সব নির্দেশনা ও পরামর্শ পেয়ে এখন নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমি সবকিছু পারব।’

গতকাল রোববার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবে অংশ নেওয়ার পর এ অনুভূতি ফৌজিয়া তাবাচ্ছুমের। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হয় তারুণ্যের জয়োৎসব। তার আগেই পরিবহন ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে টেকনাফ, চকরিয়াসহ বিভিন্ন উপকূল থেকে চার শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী মিলনায়তনে হাজির। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন জীবনযুদ্ধের প্রেরণা নিয়ে।

স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলো যুব উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয়কারী মুনির হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজটাকে ছোট করে দেখেন। এ কারণে পড়াশোনা শেষ করেও তরুণদের বিশাল একটি অংশ বেকার থেকে যাচ্ছেন। যেকোনো কাজকে ছোট করে দেখার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

প্যানেল আলোচনায় করপোরেট ট্রেইনার গোলাম সামদানী ডন ও তুরঙ্গমী নৃত্যদলের পরিচালক পূজা সেনগুপ্ত তরুণদের জীবন ও ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। তাঁরা তরুণদের অলস বসে না থেকে জীবন গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেটা পারো, সেটা বেশি বেশি করে করো। তাহলে সফলতা ধরা দেবে। বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে হলে নিরলস কাজ করতে হবে। তাহলেই সাজাতে পারবে নিজের পৃথিবী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলো কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস।

গেল বছর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন আশরাফুল হাসান রিশাদ। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কোন দিকে পা বাড়াবেন। কিন্তু জয়োৎসবে এসে তাঁর চোখ খুলে গেছে বলে জানালেন রিশাদ।