Thank you for trying Sticky AMP!!

টুথপিক

টুথপিক

দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যাংশ বের করাই এর কাজ। অনেকের তো সেটার সুচালো মুখটা দিয়ে দাঁত খুঁচিয়ে নিলেই তবে স্বস্তি। বুঝতেই পারছেন, সেটা টুথপিক বা দাঁতখিলাল। তবে হালের টুথপিক যে মানুষের কত পুরোনো অনুষঙ্গ, তা জেনে রীতিমতো পিলে চমকে যায়।
বর্তমান জর্জিয়ার ডিমানিসিতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার বছর আগে পাওয়া এক জীবাশ্ম পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের মানুষ টুথপিকজাতীয় কিছু ব্যবহার করতেন। জুরিখের এই গবেষক দলের মতে, বারবার টুথপিক ব্যবহারের কারণে তাঁদের দাঁতে ইনফেকশনও দেখা দিয়েছিল।
অবশ্য বর্তমানে আমরা যে টুথপিক ব্যবহার করি, তার জন্য সাধুবাদ জানাতে হয় ব্রাজিলিয়ানদের। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী চার্লস ফর্স্টার আঠারো শতকের শেষ দিকে ব্রাজিলে গিয়ে দেখেন ব্রাজিলিয়ানদের দাঁত বেশ সুন্দর ও পরিষ্কার। তিনি এর কারণ অনুসন্ধানে নামলেন। একসময় জানতে পারলেন, হাতে তৈরি একধরনের টুথপিক ব্যবহার করেন এই সুন্দর দাঁতের মানুষেরা।
ব্যবসায়িক লাভের কথা চিন্তা করে চার্লস ফর্স্টার ১৮৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে টুথপিক তৈরি শুরু করেন। তাঁর বানানো টুথপিক আবার দক্ষিণ আমেরিকায় রপ্তানি শুরু করেন। বছর গড়াতেই টুথপিকের প্যাটেন্টও করিয়ে নেন নিজ নামে। মূলত এরপর থেকেই টুথপিক পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
লাইভ সায়েন্স ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে আকিব মো. সাতিল