Thank you for trying Sticky AMP!!

ডায়েটের সময় রেস্তোরাঁয় কী খাবেন?

বিকেলে যদি কোনো ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় যান, তাহলে দুধ চিনি ছাড়া চা বা কফি পান করতে পারেন। ছবি: অধুনা

নানা কারণে খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যা দেখছেন তা-ই খেতে মন চাচ্ছে। আর আপনি মোটা হচ্ছেন অনিয়ন্ত্রিতভাবে। আর ওজন বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। অনেকে ওজন বেড়ে গেলে বা ওজন বাড়ার ভয়ে হঠাৎ করে ডায়েট শুরু করেন। ডায়েট করা তো আর সহজ কথা নয়!

প্রতিদিন নানা উপলক্ষে পছন্দের খাবারগুলো চোখের সামনে দেখলে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদের পরামর্শ হলো, নিজের মনকে বলুন খাব না। পছন্দের খাবার নতুন করে আবার দেখলে আবারও বলুন খাব না। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি অর্জন করতে হবে।

ডায়েট করলে সকালের নাশতা বাদ দেওয়া যাবে না। দল বেঁধে নাশতা খেতে যেতেই পারেন। বাইরে যাওয়ার আগে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই পান করুন এক গ্লাস পানি। এরপর রেস্তোরাঁয় সকালের নাশতায় অর্ডার দিতে পারেন একটি ডিম, আটার রুটি। সকালের নাশতায় কোনো রকম পাউরুটি বা কর্নফ্লেক্স খাবেন না। সবজি, তাজা ফলের রসও খেতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস তো একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। নাশতার পর এক কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। এই গ্রিন টি রাতের খাবারের পরেও পান করবেন। ওজন কমাতে ভূমিকা রাখবে গ্রিন টি এবং আপনার ঘুমেরও ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না।

দুপুরে রেস্তোরাঁয় খাবার না খাওয়া ভালো। তবে কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় বাইরে খেতে হয়। এ ক্ষেত্রে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার পছন্দ করুন। অনেক সময় দুপুর ও রাতে বুফে খেতে হয়। বুফে খেতে গেলেও সব পদই খাব, এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এমন খাবারগুলো পছন্দ করুন। ডায়েটে থাকা অবস্থায় কোমল পানীয় না পান করাই উচিত। এ জাতীয় পানীয় ওজন বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে কার্যকরী।

 বিকেলে যদি কোনো ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় মিটিং বা আড্ডা দিতে যান, তাহলে এক কাপ চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন। চা খেতে চাইলে রং চা খান। দুধ চা ও দুধ কফি না খাওয়াই ভালো।

অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই কম খাওয়া এবং বেশি কাজ করা উচিত। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ও দীর্ঘ মেয়াদে ওজন কমানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে স্থায়ীভাবে আপনার খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামে পরিবর্তন আনা। কিছু ছোট পরিবর্তন যেমন কম খাওয়া এবং চর্বি, চিনি ও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান থেকে বিরত থাকলে তা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। একই সঙ্গে ডায়েটও হবে।