Thank you for trying Sticky AMP!!

থলে ভরা আনন্দ

বয়স অনুযায়ী বেছে নিতে হবে গুডি ব্যাগের উপহার। ছবি: খালেদ সরকার

যেকোনো আয়োজনেই শিশুরা থাকে প্রাণখোলা আনন্দে। অনুষ্ঠানে এসে যদি ওরা পায় ছোট্ট কিছু উপহার, তাহলে তো কথাই নেই। নিমেষেই আনন্দ বেড়ে হয়ে যায় দ্বিগুণ। ছোট্ট একটা সুন্দর ব্যাগে যদি শিশুর জন্য কিছু চকলেট বা ক্যান্ডি, ছোট একটা খেলনা, পেনসিল বা মজাদার অন্য কোনো উপহার দেওয়া হয়, কী দারুণ খুশিই না হয় সে। উপহারের ব্যাগ বা গুডি ব্যাগের এই সামান্য বাড়তি আয়োজনটুকু শুধু যে জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই করতে হবে, তা কিন্তু নয়। বাড়ির সাধারণ দাওয়াতেও শিশুদের জন্য রাখতে পারেন এই থলি ভরা আনন্দ।

 কেমন হবে ব্যাগ

রাজধানীর উত্তর বাড্ডার নীলাচল ইভেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গুডি ব্যাগের ডিজাইন, কাঠামো এবং ধরন সাধারণত বিভিন্ন থিম অনুযায়ী করা হয়। আমন্ত্রিতদের বয়স, অনুষ্ঠানের ধরন ও ঋতু এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন করে ব্যাগ বানানো হয়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, গায়েহলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে ব্যাগগুলো তৈরি করা হয়। তবে অনেক সময় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে হয়।’

ইলেশন ইভেন্ট প্ল্যানার্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফারিয়া শাওরীন জানালেন, সাধারণত গুডি ব্যাগ তৈরিতে হালকা কাগজ ব্যবহার করা হয়। ব্যাগের হাতল হয় রঙিন ফিতার তৈরি। কেউ কেউ ব্যাগে লিখিয়ে নেন ‘জন্মদিনে আসার জন্য ধন্যবাদ’ জাতীয় কোনো কথা। কোনো কোনো গ্রাহক আবার আলাদা ‘থ্যাংক ইউ কার্ড’ ঝুলিয়ে নেন ট্যাগ হিসেবে।

অনেক সময় ছেলে আর মেয়েদের জন্য আলাদা রঙের ব্যাগ রাখা হয়। মেয়েদের জন্য গোলাপি বা বেগুনি, আবার ছেলেদের জন্য নীল বা লাল—এভাবে ব্যাগের রং বেছে নেন অনেকে। বাজারে এ ধরনের গুডি ব্যাগ কিনতেও পাওয়া যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনার অনুষ্ঠানের থিমের সঙ্গে না-ও মিলতে পারে।

 যা থাকে এই ব্যাগে

আপনার পছন্দমতো যেকোনো উপহারই রাখতে পারেন এই ব্যাগে। তবে যাদের জন্য এই উপহার, তাদের বয়স আর পছন্দের কথাও মাথায় রাখুন। অনেকগুলো উপহার পেলে স্বাভাবিকভাবেই একটি শিশু বেশি খুশি হয়। ছোট বল বা অন্য কোনো ছোট খেলনা, স্টিকার, ট্যাটু, নানান ধরনের ছোট-বড় চকলেট কিংবা পেনসিল, শার্পনার, ইরেজারের মতো ছোট ছোট স্টেশনারি সামগ্রী একসঙ্গে উপহার পেলে শিশুরা আনন্দ পায়। যার জন্মদিন, শুধু সে-ই উপহার পাচ্ছে—এমনটা ভেবেও আর মন খারাপ হয় না আমন্ত্রিত শিশুদের। শিশুদের বয়স অনুযায়ী খেলনা বেছে নিতে পারেন। বড়দের জন্য বিশেষ নকশা করা কাপড়ের ন্যাপকিন, শোপিস, মোমদানিও রাখা যায়।

কথা হলো জান্নাতুল নাঈমা ইসলাম খানের সঙ্গে। পেশায় চিকিৎসক। সম্প্রতি ছেলের জন্মদিনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে ছোটদের জন্য রেখেছিলেন গুডি ব্যাগ। গুডি ব্যাগের আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ‘প্রথমেই চিন্তা করতে হবে আমন্ত্রিতদের মধ্যে কয়টি শিশু আছে। আমাদের আয়োজনে শিশুর সংখ্যা কম ছিল। মূলত টিনএজারদের জন্য গুডি ব্যাগ তৈরি করেছিলাম আমরা। তাই খুব বেশি শিশুসুলভ উপহার রাখিনি ব্যাগগুলোতে।’

গিটার কলম, চাবির রিংয়ের মতো উপযোগী কয়েকটি উপহার জান্নাতুল নাঈমা ইসলাম খান রেখেছিলেন এক একটি ব্যাগে। পুরো অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘সার্কাস’। তাই সার্কাস থিমের ব্যাগই বানিয়ে নিয়েছিলেন ইভেন্ট প্ল্যানারদের কাছ থেকে। উপহারসামগ্রী আলাদাভাবে কিনেছিলেন নিজেরাই, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকে সেই দায়িত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মতে, উপহার নিজে কষ্ট করে কিনলে পছন্দমতো বেছে নেওয়া যায়; অন্য কেউ কিনে দিলে ঝামেলা কম হয় ঠিকই, তবে আনন্দটাও কমে যায়।

 খরচাপাতি

কোন ধরনের উপহার দেওয়া হচ্ছে, খরচটা নির্ভর করছে তার ওপর। সাধারণ স্টেশনারি সামগ্রী দিতে চাইলে ব্যাগপ্রতি খরচ পড়ে ৫০-১০০ টাকা। উপহারের ধরন ও মান উন্নত হলে ব্যাগপ্রতি খরচ পড়তে পারে ৬৫০ টাকা। পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার পছন্দের ওপর। গুডি ব্যাগ বানিয়ে নিতে পারেন। চাইলে দোকান থেকে কিনেও নিতে পারেন। নকশা, কাগজ বা কাপড়ের মান অনুযায়ী দাম পড়বে ৫০-১৫০ টাকা।