Thank you for trying Sticky AMP!!

থাই নাকি ভেজিটেবল স্যুপ?

 শীত মৌসুমে ধোঁয়া ওঠা হালকা গরম স্যুপ অনেকের পছন্দ। আর এটি যেকোনো বয়সের জন্যই উপকারী। ঠান্ডা-কাশি কিংবা গলা ব্যথায় তরল এই খাবার অনেকটা উপশমও করে বটে। স্যুপেরও রয়েছে বিভিন্ন ধরন। খুব সহজেই বলতে গেলে থাই এবং ভেজিটেবল স্যুপ। এই দুটির মধ্যে কোনটি অধিক উপকারী?

 এ বিষয়ে কথা হয় পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলোর সঙ্গে। তিনি জানালেন দুই ধরনের স্যুপের গুণাগুণ। 

থাই স্যুপ


থাই স্যুপ

থাই স্যুপে সাধারণত মসলার পরিমাণ একটু বেশি থাকে। ধনে পাতা, লেমন গ্রাসসহ বিভিন্ন গুল্ম দিয়েও তৈরি করা হয় এই স্যুপ। ধনেপাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ধনেপাতা কিডনির সমস্যা, রক্তশূন্যতা রোধে সহায়ক। আর লেমন গ্রাস বা অন্যান্য যে গুল্ম থাই স্যুপে দেওয়া থাকে সেগুলো ভিটামিন এ, বি, সি, কে সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। লৌহ এবং জিঙ্কও থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এ তো গেল গুল্মের গুণাগুণ।

 এগুলো ছাড়াও থাই স্যুপে মাশরুম, ডিম, মাংস থাকে। আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এই উপাদানগুলো খুবই প্রয়োজনীয়।

 তবে এটি যেহেতু প্রোটিন ও শর্করার দিক থেকে একটু ভারী হয়, তাই ডায়েটের জন্য এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খেলেও অল্প পরিমাণে।

ভেজিটেবল স্যুপ


ভেজিটেবল স্যুপ

যেহেতু এর মূল উপাদান হলো সবজি; তাই সারা দিনে এক বাটি সবজির স্যুপ আপনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন রং এবং পুষ্টিকর সবজি থাকায় এটি বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, মুটিয়ে যাওয়া বা স্থূলতার সমস্যা প্রতিরোধ করে। আমাদের হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখতেও এই স্যুপের বিভিন্ন উপাদান উপকারী।

 শীতকালীন বিভিন্ন সবজি যেমন টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁপে এগুলোর বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভেজিটেবল স্যুপ আমাদের শরীরের ২৩ শতাংশ, পটাশিয়াম, শতাংশ, ভিটামিন এ, ১৪ শতাংশ রিবোফ্ল্যাভিন এবং ১০ শতাংশ আঁশের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন এ যেমন আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। একইভাবে রিবোফ্ল্যাভিন রক্তকণিকা গঠনে ভূমিকা রাখে। আর এটি বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপেও খাওয়া যেতে পারে। এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই।

অনেক সময় কিছু সবজি যেমন গাজর বহুমূত্র রোগের জন্য অতিমাত্রায় না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্যুপের সবজি বাছাই করে নেওয়া প্রয়োজন। আবার শুধু সবজি খেলেই আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় না।